বর্তমানে ইন্টারনেটের ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে। ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ার ফলে প্রতিনিয়ত পৃথিবী আরো ছোট হয়ে আসছে। ফলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে এখন অনেক কিছুই করা যাচ্ছে। একটা সময় যেসব কাজ অনলাইনে করার কথা কল্পনাই করা যেতো না সেসব কাজই এখন অনলাইনে সহজেই করা যাচ্ছে। ফলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং সৃষ্টি আয়ের নতুন সম্ভবনা। তবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে নতুন অবস্থায় কাজ পাওয়া এতটা সহজ নয়। এজন্য আপনাকে কতগুলো সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তো আজকের পোস্টে নতুনদের মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার কয়েকটি সহজ উপায় নিয়ে আজ আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।
Table of Contents
ফ্রিল্যান্সিং কি?
ইন্টারেটের এই যুগে তরুণদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা। ফ্রিল্যান্সিং শব্দের অর্থ হচ্ছে স্থায়ীভাবে কারো অধীনস্থ না থেকে স্বাধীনভাবে কোনো কাজ করা। প্রথাগত চাকুরী না করে নিজের পছন্দ অনুযায়ী মুক্তভাবে কাজ করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। আর যারা এধরনের কাজ করেন তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার। একটি সাধারণ চাকরি থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে মূল পার্থক্যই হচ্ছে এখানে স্বাধীনভাবে কাজ করা। যারা চাকরির ধরাবাধা নিয়ম পছন্দ করেন না তাদের জন্য অর্থ আয়ের এক সহজ উপায় হলো ফ্রিল্যান্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস কি?
লোকাল কোনো চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা প্রায়শই বিডিজবস ওয়েবসাইট ভিজিট করে থাকি। এখানে কোম্পানিগুলো তাদের কোম্পানিতে লোক নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের জব পোস্ট করে থাকে। আগ্রহী প্রার্থীরা সেখান থেকে আবেদন করতে পারে। একইভাবে অনলাইন জব এর ক্ষেত্রেও এ ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে বায়ার বিভিন্ন ধরনের কাজ সংক্রান্ত পোস্ট করে থাকে। সেখানে সারা বিশ্ব থেকে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের ইচ্ছে অনুযায়ী এপ্লাই করতে পারে। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই কাজগুলো সংঘটিত হয় সে ওয়েবসাইট গুলোকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বলে। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসের কাজের ধরন, পেমেন্ট মেথড বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
৩০টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর তালিকা
কাজের ধরন বিবেচনা করে নিচে ৩০টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর একটি তালিকা দেয়া হলো যা থেকে আপনারা খুব সহজেই অনেকগুলো নতুন মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
ওয়েবসাইট | প্রতিষ্ঠাকাল | কাজের ধরণ |
fiverr.com | ২০১০ | ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, রাইটিং, ডিজাইন, মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি |
upwork.com | ২০১৫ | ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, রাইটিং, ডিজাই্ মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি |
freelancer.com | ২০০৯ | ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, রাইটিং, ডিজাইন, মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি |
pph.me | ২০০৭ | ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, রাইটিং, ডিজাইন, মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি |
toptal.com | ২০১০ | সফটওয়্যার ডেভেলপার, ডিজাইনার, ফাইন্যান্স এক্সপার্টদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সংক্রান্ত শীর্ষস্থানীয় মার্কেটপ্লেস |
flexjobs.com | ২০০৭ | বিভিন্ন ক্যাটাগরির রিমোট জবের মার্কেটপ্লেস |
simplyhired.com | ২০০৪ | বিভিন্ন ক্যাটাগরির জব সার্চ ওয়েবসাইট |
guru.com | ১৯৯৮ | ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস বিশেষ করে এসইও, ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট ক্যাটাগরির জন্য |
remote.co | ২০১৪ | বিভিন্ন ক্যাটাগরির রিমোট জবের মার্কেটপ্লেস |
seoclerks.com | ২০০৮ | এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিসের জন্য মার্কেটপ্লেস |
cloudpeeps.com | ২০১৪ | মার্কেটিং কনটেন্ট এবং কাস্টমার সাপোর্ট সংক্রান্ত জবের বিশেষ মার্কেটপ্লেস |
crowdspring.com | ২০০৭ | ডিজাইন এবং রাইটিং সংক্রান্ত মার্কেটপ্লেস |
designcrowd.com | ২০০৭ | ডিজাইন সংক্রান্ত মার্কেটপ্লেস |
expert360.com | ২০১৩ | ফ্রিল্যান্স কনসালটিং সংক্রান্ত মার্কেটপ্লেস |
getacoder.com | ২০০৫ | ডেভলপার এবং ডিজাইনারের দের জন্য মার্কেটপ্লেস |
hirable.com | ২০১৫ | রিমোট জবের জন্য মার্কেটপ্লেস |
talent.hubstaff.com | ২০১৪ | রিমোট জবের জন্য মার্কেটপ্লেস |
ifreelance.com | ২০০১ | ফ্রিল্যান্স সার্ভিস সংক্রান্ত মার্কেটপ্লেস |
outsourcely.com | ২০১৪ | রিমোট জবের জন্য মার্কেটপ্লেস |
problogger.net | ২০০৪ | রাইটিং এবং এডিটিং এর কাজ করার জন্য পোর্টাল |
powertofly.com | ২০১৪ | রিমোট জবের জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস |
purecontent.com | ২০০৭ | কনটেন্ট তৈরি এবং মার্কেটিং |
remoteok.io | ২০১৩ | রিমোট জবের জন্য মার্কেটপ্লেস |
sproutgigs.com | ২০১৪ | ফ্রিল্যান্স সার্ভিস সংক্রান্ত মার্কেটপ্লেস |
startupers.com | ২০১৫ | স্টার্টআপ সংক্রান্ত জব মার্কেটপ্লেস |
topcontent.com | ২০১২ | কনটেন্ট তৈরি এবং মার্কেটিং |
weworkremotely.com | ২০১১ | রিমোট জবের জন্য মার্কেটপ্লেস |
workingnomads.co | ২০১৫ | রিমোট জবের জন্য মার্কেটপ্লেস |
writeraccess.com | ২০১০ | কনটেন্ট তৈরি এবং মার্কেটিং |
উপরের লিস্টের প্রথম সারির ওয়েবসাইটগুলো সবার কাছে একটু বেশি পরিচিত। আপনার স্কিলের উপর ভিত্তি করে সাইট গুলো এক এক করে ভিজিট করে দেখতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাকাউন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং সার্ভিস দিতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার সহজ ১০টি উপায়
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে কাজ পাওয়া যায় না এই কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করার সাথে সাথেই আপনি কাজ পেয়ে যাবেন এটি যেমন আশা করা বোকামি আবার মার্কেটপ্লেসে দীর্ঘদিন অ্যাকাউন্ট করে রেখো যদি কাজ না পান সেটিও হতাশাজনক। তাই মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য কতিপয় বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
১.) কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি করা
মার্কেটপ্লেসে বায়ারের কাছ থেকে কাজ নিতে চাইলে আপনাকে সঠিকভাবে কমিউনিকেশন করতে হবে। আপনি যদি ঠিকঠাক ভাবে কমিউনিকেশন করতে না পারেন তাহলে হঠাৎ করে ক্লায়েন্ট পেলেও পরবর্তীতে তা ধরে রাখতে পারবেন না। প্রতিদিন একটু একটু করে ইংরেজি শিখার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে Google Translator ব্যবহার করতে পারেন।
২.) ভালোভাবে প্রোফাইল তৈরি করা
প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে কাজ শুরু করার জন্য একটি সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করতে হয়। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে আপনার মার্কেটপ্লেস প্রোফাইলটি যেন নির্ভুল, বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক হয়। প্রোফাইল তৈরির ক্ষেত্রে কখনোই অন্যের প্রোফাইল কপি করার চেষ্টা করবেন না। আপনি যদি অন্যর প্রোফাইল থেকে কনটেন্ট চুরি করে নিজের প্রোফাইলে যুক্ত করেন তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট ব্যান হতে পারে। এজন্য চেষ্টা করবেন নিজে যে কাজগুলো জানেন সেগুলো সম্পর্কে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখে একটি প্রোফাইল তৈরি করতে।
৩.) আকর্ষণীয় পোর্টফলিও যুক্ত করা
আপনি একটি কাজ অনেক ভালো জানতে পারেন কিন্তু সে কাজ সম্পর্কে যদি আপনার সঠিক স্যাম্পল বা পোর্টফলিও না থাকে তাহলে আপনি ক্লায়েন্টকে বুঝাতে পারবেন না যে আপনি কাজটিতে অভিজ্ঞ। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে হলে পোর্টফোলিও খুবই দরকারি। এ ক্ষেত্রে অনেকেই অন্যের পোর্টফলিও নিজের নামে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এ ধরনের প্রচারণামূলক কাজ কখনই মার্কেট প্লেসে করবেন না। এটা যেমন ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও সঠিক কাজ নয় আবার এ কাজটি করলে আপনার মার্কেটপ্লেসের অ্যাকাউন্ট ব্যান হয়ে যেতে পারে।
৪.) বেশিক্ষণ অনলাইনে থেকে দ্রুত রেসপন্স করা
নতুন অবস্থায় যেকোনো মার্কেটপ্লেসে দ্রুত কাজ পাওয়ার জন্য বেশিরভাগ সময় অনলাইনে থেকে ক্লায়েন্টের মেসেজের দ্রুত রেসপন্স করতে হয়। সাধারণত ক্লায়েন্ট যখন কোনো একটি জব পোস্ট করে তখন খুব দ্রুত রেসপন্স করতে পারলে কাজটি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে এ জন্য রাত জেগে মার্কেটপ্লেসে বসে থাকার প্রয়োজন নেই। দিনের বেশীর ভাগ সময় এক্টিভ থাকুন এবং চেষ্টা করুন দ্রুত সময়ে রেসপন্স করার। তাহলে ইনশাআল্লাহ কাজ পাবেন।
৫.) কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে কাজে এপ্লাই করা
অনেক সময় দেখা যায় ফ্রিল্যান্সাররা জব পোস্টটি ঠিকভাবে না করে কপি পেস্ট কভার লেটার বা প্রপোজাল লেটার পাঠায়। এটা এক ধরনের স্প্যামিং। তাই সব জবে একই প্রপোজাল লেটার না পাঠিয়ে প্রতিটি জব পোস্ট সুন্দরভাবে পড়ে সে অনুযায়ী প্রপোজাল পাঠাতে হবে। চেষ্টা করুন আপনার প্রপোজাল লেটার দিতে নিজের অভিজ্ঞতা কে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে। আপনি কেন কাজটি করার জন্য উপযুক্ত? এজাতীয় আগে কোনো কাজ করেছেন কিনা তার অভিজ্ঞতা সম্ভব হলে শেয়ার করুন। ফলে আপনার প্রতি ক্লায়েন্টের একটি আস্থা তৈরি হবে।
৬.) মার্কেটপ্লেসের নিয়মকানুন মেনে চলা
প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে কাজ করার আগে প্রথমে সেই মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে সঠিকভাবে জেনে নিন। বিশেষ করে একেকটি মার্কেটপ্লেসে ভিন্ন ভিন্ন রুলস থাকতে পারে। এ সব রুলস মেনে কাজ শুরু করুন। অনেকে দেখা যায় মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে রিভিউ কেনার চেষ্টা করেন। এ কাজটির মাধ্যমে আপনি হয়তো সাময়িক ভাবে লাভবান হতে পারেন, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এটি আপনার ক্ষতির কারণ হতে পারে। ১ জানুয়ারী ২০২৩ সালে ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ ভূয়া রিভিউ নেওয়ার জন্য গণহারে প্রচুর অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়।
৭.) স্কিল টেস্টে অংশ নেওয়া
প্রায় প্রতিটি মার্কেটপ্লেসে তাদের নিজস্ব স্কিল যাচাইকরণ পদ্ধতি রয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার মাধ্যমে স্কিল বা দক্ষতা যাচাই করা হয়। এবং পরীক্ষা শেষে প্রাপ্ত স্কোর প্রোফাইলে দেখানোর ব্যবস্থা থাকে। তাই ক্লায়েন্টের আস্থা অর্জন করতে এসব স্কিল যাচাইকরণ পরীক্ষায় অংশ নিন। চেষ্টা করুন ভাল ফলাফলের মাধ্যমে নিজের প্রোফাইলটাকে উন্নত করতে। ফলে নতুন ক্লাইন্টরা সহজেই আপানার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আপনার কাজে পেতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।
৮.) কম্পিটিটর এর উপর নজর রাখা
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নতুন অ্যাকাউন্টে কাজ পেতে হলে শুরুর দিকে একটু কম মূল্যে জবে বিড করতে হয়। কারণ যিনি যত পোস্ট করেন তিনি সাধারণত চেষ্টা করেন সর্বোত্তম প্রাইসে সর্বোচ্চ কোয়ালিটি টি পেতে। এজন্য অন্যদের চাইতে তুলনামূলক একটু প্রাইস কম দিলে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে এর উল্টোটাও হতে পারে। একটি কাজে বেশি প্রাইস দিলে ক্লায়েন্টের তার প্রতি কৌতূহল তৈরি হয়। কেন সে অন্যান্যদের চাইতে বেশি মূল্য যাচ্ছে সেটি জানতে চায়। আপনি দুটো কৌশলই অবলম্বন করে দেখতে পারেন।
৯.) ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করা
ফ্রীলান্সিং মার্কেটপ্লেস এর বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই যেহেতু পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে হয়ে থাকে, এজন্য তাদের অধিকাংশেরই ভাষা ইংরেজি। ক্লায়েন্টের সাথে সুন্দরভাবে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য ইংরেজি ভাষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আপনাকে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করতে হবে ইংরেজি ভাষাকে আয়ত্তে আনার। ইংরেজি শিখা ব্যাতিত ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে গুলোতে আপনি বেশীদুর এগোতে পারবেন না।
১০.) একাধিক মার্কেটপ্লেস নিয়ে কাজ করা
আপনি যদি ফ্রীলান্সিং পেশাই নতুন হয়ে থাকেন আপনার উচিত একাধিক মার্কেটপ্লেসে একসাথে কাজ করা। অনেকেই শুধু একটি মার্কেটপ্লেসের উপর নির্ভরশীল থাকেন, তবে সম্ভবত সেই মার্কেটপ্লেস আপনাকে সফল করতে পারে না। তাই আপনার উচিত হবে যদি আপনি সর্বোচ্চ দুই থেকে তিনটা মার্কেটপ্লেস নিয়ে একসাথে কাজ করা। একেকটি মার্কেটপ্লেস থেকে কম অর্ডার আসলেও আপনি অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে বাকি অর্ডার গ্রহণ করে আপনার কাজের ব্যালেন্স রাখতে পারবেন।
শেষ কথা,
পরিশেষে বলা যায় যে আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হোন এবং উপরের স্টেপগুলো ভালোভাবে অনুসরণ তাহলে আপনি খুব সহজেই নতুন অবস্থাতেই কাজ পেয়ে যাবেন। সবসময় চেষ্টা করবেন নিজেকে একটু আপগ্রেড রাখতে। অন্যদের থেকে সবসময় ভালো সার্ভিস দেওয়ার ফলে আপনার পুরাতন ক্লাইন্টরা আপনার কাছ থেকে আবার কাজ করিয়ে নিবে। একটু একটু করে যখন আপনার অ্যকাউন্ট র্যাংক করবে তখন আপনার কাজের অভাব থাকবে না।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.