জনপ্রিয় ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস নিয়ে খুঁটিনাটি

জনপ্রিয় ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

আপনারা হয়তো ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস শব্দটির সাথে পরিচিত নাও থাকতে পারেন, তাদের জন্য বলছি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এমন একটি জায়গা যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা কাজের জন্য প্রতিযোগিতা করে আর কোম্পানী বা ক্লায়েন্টরা তাদের পছন্দমতো ফ্রিল্যান্সার বাছাইয়ের জন্য সেখানে কাজ পোস্ট করে থাকে। ঠিক যেমনটি হয়ে থাকে বাংলাদেশি সুপরিচিত ওয়েবসাইট bdjobs.com এ। এখানে যেমন বিভিন্ন কোম্পানি তাদের কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছে ঠিক একই কাজটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসেও হয়ে থাকে, তবে পদ্ধতিগত কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। 

জনপ্রিয় ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস (Best Freelancing Marketplace)

বর্তমান সময়ে ৪০ টিরও অধিক ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গড়ে ওঠেছে। এই মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে সুপরিচিত হচ্ছে upwork.com, fiverr.com, freelancer.com, peopleperhour.com, guru.com, seoclerk.com, 99designs.com ইত্যাদি। তবে আজ আমরা জনপ্রিয় ৫টি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এবং তাদের কাজের ধরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

১। ফাইবার (Fiverr Best for Begginers)

ফাইবার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ফাইবার ডট কম একটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। এখানে অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের তুলনায় সহজে কাজ পাওয়া যায়। আমি অনেককেই দেখেছি খুব অল্প সময়ের  মাঝে এখানে কাজ পেতে। এই মার্কেটপ্লেসে যে কেউ কাজ শিখে একাউন্ট তৈরী করে খুব সহজেই বাইরের কোন দেশের  ক্লায়েন্টের কাজ করতে পারে।  

ফাইবারের কাজের ধরনঃ

সাধারণত ফাইবারে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কিছু কাজ উল্লেখ করা হলো। যেমন-

  • প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
  • মেশিন ল্যার্নিং
  • আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স
  • প্রোগ্রামিং এবং এ.আই ডেভেল্পমেন্ট
  • ডাটা এন্ট্রি ও লীড জেনারেশন
  • ভিডিও এডিটিং ও মোশন গ্রাফিক্স
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ফাইবারে থেকে টাকা উত্তোলনের মাধ্যমঃ

বর্তমান সময়ে ফাইবার থেকে টাকা উত্তোলনের জনপ্রিয় মাধ্যমগলো হলো- পেওনিয়ার, ক্রেডিট কার্ড, পেপাল, ফাইভার ক্রেডিটস, ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশীদের জন্য পেওনিয়ারই হচ্ছে সব থেকে সহজ মাধ্যম। এখানে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ সম্পন্ন করে জমা দেওয়ার পরে ফাইভার থেকে ১৪ দিন পর পেমেন্ট পাওয়া যায়। এর জন্য ফাইভার প্রতি ৫ ডলারে ১ ডলার নিয়ে থাকে অথ্যাৎ শতকরা ২০% টাকা ফাইবার কেটে নিয়ে যায়।

২। Upwork মার্কেটপ্লেস (Best for Professionals)

upwork freelancing marketplace

আপওয়ার্ক হচ্ছে বর্তমান সময়ের একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেখানে 12 মিলিয়নেরও বেশি নিবন্ধিত ফ্রিল্যান্সার রয়েছে। এটি ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন দক্ষতয়ার উপর ভিত্তি করে কাজের সুযোগ প্রদান করে। তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হিসাবে Upwork বিশ্ব্যাপী ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যেখানে ক্লায়েন্টরা বিভিন্ন পেশাদারদের কাছ থেকে পরিষেবা গ্রহন করে থাকে, এবং ফ্রিল্যান্সাররা টাকা বিনিময়ে সেবা দিয়ে থাকে।

Upwork এর কাজের ধরনঃ

আপওয়ার্কে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে সেগুলোকে আবার ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে, তা হচ্ছে ;

  • ঘণ্টা ভিত্তিক (Hourly) কাজ
  • ফিক্সড প্রাইস (Fixed Price) কাজ

ঘন্টা ভিত্তিক কাজে ফ্রিল্যান্সাররা যে কাজ  করে তার জন্য ঘন্টা হিসেবে পারিশ্রমিক পেয়ে থাকে।  এখন প্রশ্ন হতে পারে আমি যে কয় ঘন্টা কাজ করব তা ক্লায়েন্ট / বায়ার দেখবে কিভাবে বা এর হিসাব কিভাবে হবে?  

সাধারণত যেসব মার্কেটপ্লেসে ঘন্টা ভিত্তিক কাজ হয় সেসব মার্কেটপ্লেসের নিজস্ব সফটওয়্যার থাকে যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করার সময় সেই সফটওয়্যার টি চালু করে কাজ করে। এর ফলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারের কাজগুলো ক্লায়েন্ট / বায়ার সরাসরি মনিটরিং করার ‍সুযোগ পায়। 

ঘন্টা ভিত্তিক কাজ করার সময় আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যেন সময়ের অপচয় না হয়। ক্লায়েন্ট / বায়ার প্রতিটি সেকেন্ডের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ প্রদান করছে।  তাই  এই সময়ের যথাযথ মূল্য দেওয়া উচিত, তা না হলে অন্যের হক নষ্ট করার গুনাহ  হবে। একটু সহজ ভাবে যদি বিষয়টি  ব্যাখ্যা করি;  মনে করুন, কোনো একটি কাজে আমি আপনাকে হায়ার করলাম ঘণ্টা প্রতি ১০ ডলার রেটে। এখন আপনি যদি কাজটি শেষ করতে যে সময় লাগবে তার চেয়ে অনেক বেশি সময় নেন এবং কাজের সময় গাফিলতি করেন তাহলে আমি ক্লায়েন্ট হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো । অপরদিকে আপনি যদি আমার ধারণার চাইতে কম সময়ে কাজটি করে দিতে পারেন তাহলে আমার অর্থ সাশ্রয় হবে।  সে ক্ষেত্রে আমি পরবর্তীতে আপনাকে আরো কাজ দিতে উৎসাহিত হবো । 

সততা এবং ধৈর্য্য ফ্রিল্যান্সারদের অন্যতম দুটি গুণ হওয়া উচিত। 

চুক্তিভিত্তিক কাজে ফ্রিল্যান্সাররা কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে বাজেট দিয়ে থাকে এবং ক্লায়েন্ট কাজটি সম্পাদন সাপেক্ষে চুক্তি অনুযায়ী পারিশ্রমিক প্রদান করে। এজন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্লায়েন্ট জব সংক্রান্ত বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করে,   বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা সেই জব টিতে কাজ প্রাপ্তির জন্য  প্রোপোজাল লেটার পাঠায়। 

এখানে একটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন,  অনেক সময় ক্লায়েন্ট ফ্রিল্যান্সারের কাছে কাজের স্যাম্পল চেয়ে থাকে। ক্লায়েন্ট কাজ দেওয়ার পূর্বে ফ্রিল্যান্সারের কাছ থেকে স্যাম্পল চাইতেই পারে কারণ তার জানার প্রয়োজন আছে, সে যাকে কাজটি দিচ্ছে সেই ফ্রিল্যান্সার আসলে এই কাজটি করার উপযুক্ত কিনা, এ ধরনের কাজ আগে সে করেছে কিনা, ইত্যাদি, ইত্যাদি। কখনো কখনো টেস্ট প্রজেক্ট এর নামে  কিছু প্রতারক  মার্কেটপ্লেসে তার পুরো কাজটিই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে থাকে যদিও এই সংখ্যাটি খুবই কম।

এজন্য কোনো ক্লায়েন্টের কাজ করার পূর্বে তার প্রোফাইলটি ও যাচাই করে দেখা উচিত। সে আগে মার্কেটপ্লেসে কাউকে দিয়ে কাজ করিয়েছে কিনা, ফ্রিল্যান্সাররা তাকে কি ধরনের ফিডব্যাক দিয়েছে, সে সর্বমোট কি পরিমাণ অর্থ মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সারদেরকে প্রদান করেছে ইত্যাদি বিষয়গুলো কোন একটি জবে বিড করার পূর্বে ফ্রিল্যান্সারের যাচাই করে দেখা উচিত এক্ষেত্রে প্রতারিত হওয়ার সুযোগ থাকেনা।  আমরা যেহেতু হালাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করতে চাই সুতরাং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কাউকে প্রতারিত করব না এবং  নিজেও প্রতারিত হব না। 

আপওয়ার্কে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। এখানে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কিছু কাজের উদাহরণ হলো:

  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)
  • প্রোগ্রামিং
  • ডাটা এন্ট্রি
  • ভিডিও এডিটিং
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
  • ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • এডভার্টাইজিং
  • ট্রান্সলেশন
  • লিডস জেনারেশন
  • ভিডিও প্রোডাকশন

আপওয়ার্ক থেকে টাকা উত্তোলনের মাধ্যমঃ

পে’পাল, পেওনিয়ার, ওয়্যার ট্রান্সফার, ইত্যাদি। তাছড়া লোকাল ব্যাংকের মাধ্যমেও টাকা তোলা যায়। বর্তমানে আপওয়ার্কের কাজের জন্য শতকরা ১০% ফি কেটে নেওয়া ফ্রিল্যান্সারদের আক্যাউন্ট থেকে। প্রতিটা কাজ শেষ করার পর টাকা আপনার আক্যাউন্টে জমা হয়ে যায়।

০৩। ফ্রিল্যান্সার (Freelancer)

best freelancing marketplace for bangladesh freelancer.com

ফ্রিল্যান্সার.কম (Freelancer.com) আরেকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজ পেয়ে থাকে। এখানে ১৮০০এর বেশি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির জব রয়েছে। এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি করতে এবং কাজের পোর্টফোলিও শেয়ার করতে হবে। তাছাড়া এখানে ২০০ এর ও বেশি দেশের ফ্রিল্যান্সাররা এখানে নিবন্ধিত আছেন, যা এই মার্কেটপ্লেসকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রিল্যান্সিং কমিউনিটিতে রূপান্তর করেছে।

ফ্রিল্যান্সার (Freelancer.com) এর কাজের ধরনঃ

আমারা ইতিমধ্যে জেনেছি যে এখানে ১৮০০ এর বেশি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরির জব রয়েছে। তাই আপনি চাইলে খুব সহজেই আক্যাউন্ট করে কাজ শরু করতে পারেন। নিচে আমরা Freelancer.com এর অধিক চাহিদা সস্মত কাজের লিস্ট তুলে ধরেছি।

  • ওয়েব ডিজাইন
  • সফটওয়্যার আর্কিটেকচার
  • সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • এইচটিএমএল
  • সিএসএস
  • পাইথন
  • জাভা স্ক্রিপ্ট
  • পিএইচপি
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ইলাস্ট্রেশন
  • থ্রিডি মডেলিং
  • ই-কমার্স
  • ফটোশপ, ইত্যাদি
  • রিসার্চ রাইটিং
  • আর্টিকেল রাইটিং

ফ্রিল্যান্সার থেকে টাকা উত্তোলনের মাধ্যমঃ

অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর মতই  ফ্রিল্যান্সার ডটকমে টাকা উত্তোলনের অনেকগুলো সহজ মাধ্যম রয়েছে।  এখানে টাকা  উত্তোলনের উল্লেখযোগ্য  মাধ্যম গুলো হচ্ছে পেপাল, স্কিল,  ফ্রিল্যান্সার ডেবিট কার্ড এবং পেওনিয়ার ইত্যাদি। Fiver.com এর মতই এখানেও মার্কেটপ্লেস চার্জ হিসেবে ২০% টাকা কেটে নেওয়া হয়।

৪। 99designs.com ( Best for Graphics Designer)

নতুন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সেরা মার্কেটপ্লেস

99designs.com হলো আরেকটি বিশ্বব্যাপী ডিজাইন মার্কেটপ্লেস। এটি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং অন্যান্য ডিজাইন বিক্রি করার  জন্য উপযুক্ত  মার্কেটপ্লেস। এখানে  ডিজাইনারদের সাথে ক্লায়েন্টদের খুব সহজে সংযোগ স্থাপন করা যায়। এটি বর্তমান সময়ের একটি ক্রিয়েটিভ ডিজাইন মার্কেটপ্লেস, যেখানে ক্রিয়েটিভ এবং দক্ষ লোকজন কাজ করে থেকে।

99designs.com এর কাজের ধরনঃ

অনন্যা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর তুলনায় 99 ডিজাইন কিছুটা ভিন্ন। এখানের বেশির ভাগ কাজই হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড।  আপনি যদি একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে এই মার্কেটটি আপনার জন্য পারফেক্ট। এখানে ফিক্স জবের পাশাপাশি কনটেস্ট এর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ইনকাম করে থাকে।

  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • লোগো ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন
  • ইলাস্ট্রেশন ডিজাইন
  • প্যাকেজিং ডিজাইন
  • ব্রোশার ডিজাইন
  • এনিমেশন ডিজাইন
  • প্রিন্ট ডিজাইন
  • সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন
  • ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন

99 ডিজাইন থেকে টাকা উত্তোলনের মাধ্যমঃ

পেপাল (PayPal), ব্যাংক ট্রান্সফার, স্ক্রিল (Skrill), পেয়নিয়ার (Payoneer), মাস্টারকার্ড/ভিসা ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি, মাধ্যমগুলির মাধ্যমে ডিজাইনাররা তাদের উপার্জনিত আয় উত্তোলন করতে পারেন 99designs.com থেকে। এবং এখানেও মার্কেটপ্লেস চার্জ হিসেবে ২০% টাকা কেটে নেওয়া হয়।

০৫। পিপল পার আওয়ার (People Per Hour)

peopleperhour-marketplace

পিপল পার আওয়ার হলো অনলাইনে আয় করার জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যা লন্ডনে অবস্থিত একটি ফ্রিল্যান্সিং প্রতিষ্ঠান। এই প্ল্যাটফর্মে আপনি ঘন্টাভিত্তিক এবং ফিক্সড প্রাইস প্রজেক্ট পাবেন যার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে আয় করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি হওয়ার জন্য প্রতিটি প্রজেক্টের জন্য আপনি ২০ থেকে ২৫০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। আপনি কাজ সম্পন্ন করার পর প্ল্যাটফর্মটি ২০% কমিশন নিয়ে থাকে।

পিপল পার আওয়ার এর কাজের ধরনঃ

পিপল পার আওয়া এ বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজ রয়েছে। আবার এই ক্যাটাগরি গুলোর আবার বিভিন্ন সাব ক্যাটাগরি রয়েছে। নিম্নে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কিছু কাজের উদাহরণ হলো –

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
  • গ্রাফিক ডিজাইন
  • ডিজিটাল মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট রাইটিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
  • এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
  • ডাটা এন্ট্রি

পিপল পার আওয়ার থেকে টাকা উত্তোলনের মাধ্যমঃ

পেপাল (PayPal), ব্যাংক ট্রান্সফার, স্ক্রিল (Skrill), পেয়নিয়ার (Payoneer), মাস্টারকার্ড/ভিসা কার্ড ইত্যাদি, মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের টাকা খুব সহজেই উত্তোলন করতে পারেন।

উপসংহার

লোকাল একটি কথা, আছে মামা খালু ছাড়া চাকরি হয় না । অনেক ক্ষেত্রে  যাদের মামা খালু নেই তারা শুধু ইন্টারভিউ দিয়ে যায় কিন্তু চাকরি নামক সোনার হরিণের দেখা পায়না।  তবে আলহামদুলিল্লাহ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে,  প্রাইভেট সেক্টরগুলোতে বিশেষ করে আইটি সেক্টরে একাডেমিক যোগ্যতার চাইতেও দক্ষতাকে মূল্যায়ণ করা হচ্ছে।  এখানে মামা-খালু ছাড়াই চাকরি হচ্ছে।  ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে তো আরো সহজ বিষয়টি। আপনি কোন একটি কাজ শিখছেন,  এরপর মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরি করছেন,  প্রোফাইলকে সাজাচ্ছেন,  নিয়মিত বিড করছেন,  একসময় কাজও পেয়ে যাচ্ছেন। এজন্য আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হচ্ছে না মার্কেটপ্লেসে। 

মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট তৈরী করার ক্ষেত্রে  আমি সব সময় পরামর্শ দিব নিজের এনআইডি দিয়ে নিজের নামে একাউন্ট খোলার জন্য । অনেকেই দেখা যায় তার বউয়ের একাউন্ট, মায়ের অ্যাকাউন্ট, বাবার একাউন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে প্রোফাইল করে থাকেন যা মোটেই উচিত নয়। আজকে আপাতত এখানেই শেষ করছি ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।

Leave a Reply

Index