ফ্রিল্যান্সিং কি? নতুনদের ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন

freelancing-career-guidelines

ফ্রিল্যান্সিং কি? (What is Freelancing?)

যারা একদমই নতুন এবং জানেনই না যে ফ্রিল্যান্সিং কি তাদের জন্য খুব সহজ করে যদি বলি তবে ফ্রিল্যান্সিং অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছে মতো কাজ করতে পারবেন আপনার পেশায়। সচরাচর  চাকরি করার ক্ষেত্রে প্রতিদিন সকাল আটটা নয়টার মধ্যে অফিসে যেতে হয়, কাজে একটু এদিক-সেদিক হলে বসের ঝাড়ি তো আছেই। একটা নিয়মের আবর্তে নির্দিষ্ট একটি গন্ডির মধ্যে চলে সেই পেশাজীবন। কিন্তু  ফ্রিল্যান্সিং এর উল্টো।  আপনি কোনো নির্দিষ্ট বসের অধীনে কাজ করছেন না। কারো সাথে কাজ করতে ভাল লাগছে না আপনি অন্য কারো সাথে কাজ করতে সুযোগ পাচ্ছেন।  প্রতিদিন আপনাকে নিয়ম করে অফিসে যেতে হচ্ছে না,  বাসায় বসেই নিজের মতো করে কাজ করছেন। যদি কাজ করতে ভালো না লাগে ইচ্ছে মত ছুটি কাটাতে পারছেন। 

অর্থাৎ আমরা বুঝতেই পারছি, নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে স্থায়ী ভাবে কাজ না করে মুক্ত ভাবে বাধাহীনভাবে কাজ করার নামই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।  

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার কেন গড়বেন?

অনেকেই মনে করেন যে, ফ্রিল্যান্সিং মনেহয় শুধু কম্পিউটারেই সীমাবদ্ধ কোনো বিশেষ কাজ । সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করাকেই ফ্রিল্যান্সিং ভেবে বসেন অনেকে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি শুধুমাত্র অনলাইনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা হতে পারে অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান চারটি কারণ অন্যতম। প্রথমত,  ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজের স্বাধীনতা রয়েছে।  দ্বিতীয়তঃ এখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত পছন্দের কাজটি করতে পারেন । তৃতীয়তঃ আপনার আয়ের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।  চতুর্থত আপনি বিশ্বের যে কোনো জায়গার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকবেন। এছাড়াও এই পেশায় আপনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকবেন এখানে আপনার নিজের বেতন নিজেই ঠিক করতে পারবেন এবং বিকল্প পেশা হিসেবে কাজ করে যেতে পারবেন।

গতানুগতিক চাকরির ধরা বাধা নিয়মে যাদের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে তাদের জন্য স্বস্তির নিঃশ্বাস। একমাত্র ফ্রিল্যান্সিংই আপনাকে দিতে পারে কাজের পাশাপাশি পরিবারকে সময় দেয়ার সুযোগ।

কি কি দক্ষতা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে?

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে ফ্রিল্যান্সিং বলতে সাধারণত  অন্যের হয়ে নির্দিষ্ট সময়ের  মাঝে নির্দিষ্ট পরিমাণ কাজ করে দেওয়াকে বুঝায়।  এখন এই কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে সে কাজে উপর দক্ষ হতে হবে। কাজের দক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কৌশল জানতে হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো।

  • ভালোভাবে কম্পিউটার চালানোর স্কিল
  •  ভালো মানের ইন্টারনেট ব্যবস্থা ।
  •  ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বেসিক ইংরেজি স্কিল।
  •  আপনি যে কাজটি করতে চান তার ওপর পূর্ণ দক্ষতা।
  •  নিজের উপর আত্মবিশ্বাস।
  •  বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের দক্ষতা।
  •  দীর্ঘ মেয়াদী কাজ করার মন মানসিকতা  ও ধৈর্য ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো ও ক্যারিয়ার শুরু করব?

মনে করুন, আপনি খুব সুন্দর ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন। এখন আমার কোম্পানির জন্য একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। আপনাকে আমি এই কাজটি দিলাম নির্দিষ্ট পরিমানের একটি অর্থের বিনিময়ে। এখানে আপনি যে কাজটি করছেন, সেটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। 

ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে চাইলে আপনাকে কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট থাকতে হবে। প্রথমত আপনার কাজের দক্ষতা,  আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট কাজে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে সেই কাজ দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। আপনি আপনার কাজের উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে আপনার কাজ শুরু করতে পারেন। দ্বিতীয়ত, ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন, কেননা মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করা থেকে শুরু করে  ক্লাইন্টের কাজ জমা দেওয়া সবকিছু  হবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তৃতীয়তঃ, কাজ করার জন্য ভালো মানের কম্পিউটার সেটআপ ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। চতুর্থতঃ, ক্রেতার সাথে কথা বলার জন্য কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ করার দক্ষতা।

বর্তমান সময়ে মার্কেটপ্লেস গুলোতে বেশি চাহিদা সম্মত কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এবং ভার্চুয়াল এসিসটেন্ট।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কীভাবে কাজ পাবেন?

আমরা ইতিমধ্যে, ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সম্পর্কে আলোচনা করেছি আজ আমরা জানবো মার্কেটপ্লেসে কিভাবে প্রথম কাজ পেতে হয়। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে লক্ষ লক্ষ ফ্রীল্যান্সার র‍য়েছে, তাদের মধ্য থেকে আপনাকেই কেন কাজটি দিবে? হ্যা, আপনাকেই কাজটি দিবে এজন্য আপনার ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এর একাউন্টটি ভালোভাবে সাজাতে হবে।  যেমন আপনার প্রোফাইলে ফরমাল ছবি দিতে হবে, আপনার একাউন্টে ডিসক্রিপশন গুলো আপনার কাজের ক্যাটাগরি অনুযায়ী সাজাতে হবে,  ভালো মানের একটি পোর্টফোলিও আপনার একাউন্টের সাথে যুক্ত করতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কাজের ইস্কিল টেস্ট দিয়ে নিজেকে ইম্প্রুভ করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে উত্তোলন করব?

বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে থেকে টাকা উত্তোলনের জনপ্রিয় মাধ্যমগলো হলো- পেওনিয়ার, ক্রেডিট কার্ড, পেপাল, ডুয়েল কারন্সি ভিসা/ মাস্টারকার্ড ইত্যাদি। যদিও পেপ্যাল হচ্ছে বিশ্বের সব থেকে জনপ্রিয় এবং অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে, কিন্তু বাংলাদেশে পেপালের সার্ভিস না থাকায়, পেওনিয়ারই হচ্ছে সব থেকে সহজ মাধ্যম।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা (Benifits of Freelancing)

ফ্রিল্যান্সিংয়ের নানাবিধ সুযোগ সুবিধা রয়েছে।  প্রচলিত চাকরির মত ফ্রিল্যান্সিংয়ে ধরা বাধা কোনো নিয়ম নীতি নেই এটি আপনাকে অফিস থেকে বাসা এই নিয়মের হাত থেকে মুক্ত করে।  এখানে আপনি সম্পূর্ণ মুক্ত এবং নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে নিজের দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারকে লম্বা করতে পারবেন। নিম্নে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে বড় সুযোগ সুবিধাগুলো সম্পর্কে তুলে ধরা হলো-

১। কাজের স্বাধীনতা

ফ্রিল্যান্সিং করার সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হলো কাজের স্বাধীনতা। এখানে আপনি ইচ্ছা করলে কাজ করতে পারেন না করলে না।  এখানে ধরা বলার কোনো নিয়ম নীতি নেই,  তবে প্রচলিত চাকরির মত এখানে ছুটি নেয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই।  আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো প্রজেক্টে কাজ করা শুরু করেন তবে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে শেষ করতে হবে।

২। বেশি আয়ের সুযোগ

ফ্রিল্যান্সিং করার দ্বিতীয় সুবিধাটি হল বেশি ইনকামের সুযোগ। এখানে আপনার কাজের মূল্য আপনি নিজেই নির্ধারণ করতে পারবেন অন্য পেশার মতো অন্য কেউ নির্ধারণ করবে না। কোনো প্রজেক্ট নেওয়ার আগে আপনি আপনার  কাস্টমারের সাথে আপনার পারিশ্রমিক নিয়ে আলোচনা করতে  পারবেন। এখানে আপনি কত টাকা ইনকাম করতে চান তা নির্ভর করবে আপনি কতটা কাজ করতে পারবেন। বেশি কাজ করলে তুলনামূলকভাবে বেশি টাকা পাবেন কম কাজ করলে কম।

৩। ঘরে বসে কাজ করা সুবিধা

 ফ্রিল্যান্সিং এর আরেকটি সুবিধা হল যে কোনো জায়গা থেকে কাজ করতেও পারবেন।  কেননা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজটি সম্পন্ন হয়ে থাকে ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে।  আপনি আপনার কাজটি সঠিক সময়ে কাস্টমারকে বুঝিয়ে দিতে পারলেই তারা খুশি।

 ৪। দলগত কাজ করার সুবিধা

ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একই সময় আপনি বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করতে পারবেন।   অনেক সময় বিভিন্ন টিম বা দলের সদস্য সঙ্গে আপনাকে কাজ  করতে হতে পারে।  এক্ষেত্রে আপনার সুবিধাটি হল নতুন মানুষের সাথে পরিচয় এবং বিশ্বের বিভিন্ন  কোম্পানির সাথে সম্পর্ক তৈরি  হবে।

৫. উন্নত কর্মজীবনের সুযোগ

ফ্রিল্যান্সিং আপনাকে একটি উন্নত কর্মজীবনের উপাহার দিতে পারে। আপনি বিভিন্ন প্রজেক্টের মাধ্যমে নতুন কাজের দক্ষতা অর্জন করতে পারেন, আর নিজের আগ্রহ অনুযায়ী প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর অসুবিধা

পৃথিবীর সকল জিনিসেরই ভালো-মন্দ দুটি দিকই রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং ও তার ব্যতিক্রম নয় এর যেমন সুবিধা রয়েছে ঠিক তেমনি এর কিছু অসুবিধা রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-

১। দীর্ঘ মেয়াদী শারীরিক সমস্যা

দীর্ঘ সময় একই জায়গায় কাজ করার ফলে ফিন্যান্সরদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন ঘাড় ও কোমরে ব্যথা হতে পারে, এবং শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।

২। প্রতিষ্ঠিত হতে সময় লাগে

 ফ্রিল্যান্সিংয়ে স্বাবলম্বী হতে অনেক সময়  ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।  আবার অনেকেই মাঝ রাস্তায়  হতাশা এবং অবসাদে ভোগে অন্যত্র চলে যায়। আবার ফ্রিল্যান্সিং থেকে যে ইনকাম হবে এর কোনো গ্যারান্টি নেই এজন্য একটি অনিশ্চয়তা থেকেই যায়।

৩। চোখের সমস্যা

সারাক্ষণ কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে অনেক সময় চোখের সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফলে অল্প বয়সেই তাদেরকে চশমা ব্যবহার করতে হয়। চোখে কম দেখা মাথা ঘোরা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে।

৪। সামাজিক অবমূল্যায়ন

বর্তমানে আমাদের দেশের ফ্রিল্যান্সারদের কে সামাজিকভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। অনেক সময় তাদেরকে অলস বলে তিরস্কার করা হয়। তবে দিন দিন এই অবস্থার উন্নতি হচ্ছে এখন মানুষ প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে নিজেরাও আপডেট হয়ে যাচ্ছে।

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম?

বর্তমান সময়ে তরুণদের মাঝে বহুল আলোচিত প্রশ্নটি হল ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল নাকি হারাম? যদি আমাকে প্রশ্ন করা হয় ফ্রিল্যান্সিং কি হারাম নাকি হালাল? আমি এর উত্তরে বলব হ্যাঁ এবং না উভয়। পৃথিবীতে সকল কাজেরই ভালো দিক এবং খারাপ দিক থাকে।  ভালো দিক নিয়ে এগিয়ে যাওয়ায় হচ্ছে আমাদের দায়িত্ব। নিম্নে তা কোরআন হাদিসের আলোকে তুলে ধরা হলো-

ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল

ফ্রিল্যান্সিং হালাল হওয়ার দলিল;

ফ্রিল্যান্সিং হালাল হওয়ার পেছনে অনেকগুলো দলিল রয়েছে যেমন,

আল্লাহ তায়ালা বলেন –

“হে মুমিনগণ! তোমরা পরস্পরে অন্যায় পন্থায় একে অন্যের মাল ভক্ষণ করো না। তবে ব্যবসায়িক পন্থায় সম্মতির ভিত্তিতে ভক্ষণ করতে অসুবিধা নেই।

(সুরা নিসা – ২৯)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- বলেন –

‘নিজের হাতের উপার্জন থেকে উত্তম খাবার কেউ কখনো খায় নি। আল্লাহর নবি দাউদ –আলাইহিস সালাম- নিজ হাতে উপার্জন করে খেতেন।’ (সহিহ বুখারি – ২০৭২ )

শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া – রাহিমাহুল্লাহ হলেন –

‘প্রচলিত নির্দিষ্ট কোনো কাজের পারিশ্রমিক গ্রহণ করা জায়েজ আছে। যেমন যুদ্ধক্ষেত্রে আমির বললো ঐ দূর্গের বিনিময়ে ঐ পরিমান পারিশ্রমিক দেবো।’ (মাজমুউ ফাতাওয়া লি ইবনি তাইমিয়াহ)

ফ্রিল্যান্সিং হালাল তবে ….

স্বাবিকদিক বিবেচনায় রেখে – আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কি হালাল? প্রশ্নটির উত্তরে বলা যায়, হ্যা তা হালাল। বরং যদি হালাল উপায়ে ফ্রিল্যান্সিং করার গাইড লাইন মেনে কাজটি করা হয় তাহলে তা প্রশংসনীও বটে। তবে সর্বক্ষেত্রে স্মরণ রাখতে হবে অফলাইন কর্মক্ষেত্রে যা কিছু অবৈধ অন-লাইন কর্মক্ষেত্রেও তা অবৈধ।

মোবাইলে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কি ?

হ্যাঁ, মোবাইলে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় , তবে বেশিরভাগ কাজের জন্য পিসির প্রয়োজন হবে। মোবাইলে আপনি ছোট প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, ডেটা এন্ট্রি, ট্রান্সক্রিপশন এবং অন্যান্য ছোট কাজগুলি করতে পারেন। বড় এবং জটিল প্রজেক্টগুলি করার জন্য পিসি ব্যবহার করতে হয়।

মোবাইলের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায়?

উপসংহার

পরিশেষে বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এমন একটি মুক্ত পেশা যেখানে প্রচলিত নিয়মের বাইরে গিয়ে নিজের ইচ্ছামত কাজ করা যায়। এর কিছু অসুবিধা থাকলেও এর বহু সুবিধা রয়েছে যা আমাদের জন্য অনেক উপকারি। কিছুটা সচেতন থকলাই এসকল সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব। আমি আশা করি যে  আমি মনে হয় ধারণা দিতে পেরেছি, ফ্রিল্যান্সিং জিনিটা আসলে কি? এছাড়াও আপনার যদি আরো কিছু জানার থাকে বিস্তারিত লিখে কমেন্টে জানাতে পারেন।

এই ওয়েবসাইটের সকল কন্টেন্ট (ছবি, লেখা ইত্যাদি) অন্য কোথাও কপি করে বা পরিবর্তন করে পাবলিশ করার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যদি কেউ এমন অপরাধমূলক কাজ করেন তাহলে DMCA পাঠানো সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।


Leave a Reply