ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কি? Instagram Marketing কিভাবে করবেন?

What is Instagram Marketing

বর্তমান বিশ্বে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। ২৯শে অগাস্ট ২০২৩ তারিখের তথ্য মতে instagram এর মোট ১.৩৫ বিলিয়ন ব্যবহারকারী রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে যে কোন ব্র্যান্ডের পণ্য বা সেবার প্রচার এবং প্রসার করা সম্ভব।ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মূল লক্ষ্য হলো ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই অসংখ্য কাস্টমারের কাছে নিজের পণ্যের প্রচার করা। মার্কেটিং এর জন্য এখানে পণ্য বা ব্যবসা সম্পর্কিত বিভিন্ন ছবি, টেক্সট, এবং ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করা হয়।

বর্তমানে অনেক মানুষ রয়েছে যারা অনলাইনে বা অফলাইনে কোনো না কোনো উপায়ে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত। সব ধরনের ব্যবসার ক্ষেত্রেই মার্কেটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার ব্যবসার জন্য বেশি পরিমাণ অডিয়েন্স টার্গেট করে অধিক মুনাফা অর্জন করার জন্য কিভাবে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে আজকের পোস্টে। তার আগে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কি? এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।

ইনস্টাগ্রাম কি? (What is Instagram)

ইনস্টাগ্রাম (Instagram) হল একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেখানে মানুষ বিভিন্ন ছবি, ভিডিও, এবং টেক্সট শেয়ারের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে থাকে। ভিজুয়াল কনটেন্ট ভিত্তিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া গুলোর মতই ইনস্টাগ্রামেও বন্ধুদের সাথে ভিডিও, ফটো, এবং টেক্সট শেয়ারের মাধ্যমে আড্ডা দেওয়া যায়।

উইকিপিডিয়া এর তথ্য অনুযায়ী Kevin Systrom এবং Mike Krieger নামক দুইজন ব্যক্তি ২০১০ সালে এই সোশ্যাল মিডিয়া সফটওয়্যার টি উদ্ধাবন করেছিলেন। তারপর থেকে ইনস্টাগ্রাম এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। পরবর্তীতে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ইনস্টাগ্রাম কে ১ বিলিয়ন ডলার এর বিনিময়ে কিনে নেয়। বর্তমানে ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম দুটোই মেটা কোম্পানির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কি? (What is Instagram Marketing)

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং (Instagram Marketing) হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে যেকোনো পণ্য, সেবা, অথবা প্রতিষ্ঠানের প্রচার করা। ইনস্টাগ্রাম অনেক শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় আপনি খুব সহজেই আপনার পণ্যকে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। পণ্যের প্রচার করার সাথে সাথে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার সম্পর্কে অ্যাওয়ারনেস বৃদ্ধি করতে পারবেন। যাতে করে কাস্টমারের সাথে আপনার সু-সম্পর্ক স্থাপন হবে এবং আপনার সেলস অনেক বৃদ্ধি পাবে।

প্রফেশনাল ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল কেন জরুরী?

ভূমিকা থেকে এবার মূল টপিকের দিকে আসা যাক। যে কোনো ব্যবসায় সফলতা অর্জনের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা তো বুঝলাম। কিন্তু মার্কেটিং শুরু করার আগে আপনার প্রোফাইলটি যদি সুন্দরভাবে সাজিয়ে না নেন তাহলে শুধু মার্কেটিং করে খুব বেশি সফলতা পাওয়া যাবে না।

চলেন একটি উদাহরণের মাধ্যমে বুঝে নেই কেন প্রফেশনাল একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। মনে করেন, আপনি বাজারে গেলেন মুদি দোকান থেকে কিছু জিনিস কিনার জন্য। এখন আপনি বলেন, যে দোকান অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং মালামাল সুন্দরভাবে গুছানো, আপনি ওই দোকান থেকে মালামাল কিনবেন নাকি অপরিষ্কার-অগুছালো একটা দোকান থেকে মালামাল কিনবেন। অবশ্যই আপনি পরিষ্কার এবং গুছানো যে দোকান ওই দোকান থেকেই মালামাল কিনবেন।

অনলাইনে ব্যবসার ক্ষেত্রেও বিষয়টা ঠিক একই রকম। আপনার প্রোফাইলটি যদি সুন্দরভাবে সাজানো থাকে তাহলে আপনার উপর মানুষের ট্রাস্ট বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে আপনার কোম্পানি কেমন তা মানুষ আপনার প্রোফাইল দেখেই অনুমান করতে পারবে। আর এই জন্যেই যে কোনো অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য অপটিমাইজড একটি প্রোফাইল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিভাবে একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করব?

নিম্নে উল্লেখিত ধাপ গুলো অনুসরণ করে খুব সহজেই একটি প্রফেশনাল মানে ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেনঃ

ধাপ-১ঃ  প্রথমে যেকোনো একটি ব্রাউজার ওপেন করে সার্চ বক্সে “www.instagram.com” এই লেখাটি টাইপ করতে হবে এবং ইন্টার চাপতে হবে। তাহলে আপনি সরাসরি ইনস্টাগ্রামের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যাবেন।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং প্রোফাইল তৈরির নিয়ম

ধাপ-২ঃ  ওয়েবসাইট টি ওপেন হলে একাউন্ট তৈরি করার জন্য অনেকগুলো অপশন পাবেন। যেমন আপনি চাইলে ফেসবুক আইডি অথবা ফোন নাম্বার দিয়েও একাউন্ট করতে পারবেন। কিন্তু সবচেয়ে ভালো অপশন হল জিমেইল আইডি দিয়ে একাউন্ট তৈরি করা। জিমেইল আইডি দিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য Sign Up নামের বাটনটিতে ক্লিক করুন।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং প্রোফাইল তৈরি

সাইন আপ বাটনে ক্লিক করার পর আপনার ইমেইল এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে খুব সহজেই একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। একাউন্ট তৈরির কাজ তো শেষ। চলুন তাহলে, এখন প্রোফাইলটিকে প্রফেশনাল বানানোর উপায় গুলো জেনে নেই।

প্রফেশনাল ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল বানানোর টিপস

প্রফেশনাল ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল বানানোর টিপস

একটি ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল কে প্রফেশনাল ভাবে তৈরি করতে নিচের টিপস গুলো ফলো করতে পারেন।

  • একাউন্ট তৈরীর করার সময় বিজনেস জিমেইল ব্যবহার করে একাউন্টটি তৈরি করা।
  • ফেসবুক একাউন্টের সাহায্যে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার সহজ বলে অনেকেই ফেসবুক একাউন্টে ব্যবহার করে ইনস্টাগ্রামে একাউন্ট তৈরি করে। কিন্তু এ বিষয়টি না করাই উত্তম।
  • যেহেতু ইন্সটাগ্রাম একাউন্টটি ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা হচ্ছে তাই ইনস্টাগ্রামে Full Name দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের নামের পরিবর্তে বিজনেস বা কোম্পানির নাম ব্যবহার করতে হবে।
  • প্রোফাইল অপশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো Username. চেষ্টা করতে হবে যেন Username টি খুব ছোট হয় এবং এতে বিজনেস এর নাম উল্লেখ থাকে। কারণ Username এর মাধ্যমে ক্লাইন্ট আপনাকে খুঁজে নেবে।
  • এর পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল প্রোফাইল পিকচার। প্রোফাইল পিকচার দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার বিজনেস কোম্পানির Logo টি ব্যবহার করতে হবে।
  • সবশেষে নতুন একাউন্টটিকে বিজনেস একাউন্টে এ কনভার্ট করে নিতে হবে যাতে করে আপনি আরো অন্যান্য ফিচার গুলির সুবিধা ভোগ করতে পারেন।

পার্সোনাল ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট কে বিজনেস একাউন্টে কনভার্ট করার জন্য নিচের স্টেপ গুলো অনুসরণ করতে হবেঃ More > Settings > Professional Account > Switch to business account

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কেন করব?

বর্তমানে ইনস্টাগ্রামের ইউজার সংখ্যা বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তাই আমার মনে হয় না এই প্রশ্ন কারো মনে এখনো থাকার কথা। Instagram ব্যবহার করে আপনি বিপুল সংখ্যক কাস্টমারের কাছে খুব সহজেই পৌঁছাতে পারবেন। শুধু তাই নয় আমেরিকায় প্রায় ৭১% এর বেশি Business Owner-রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।

এছাড়াও আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সার্ভিস দিতে চান তাহলে বাহিরের দেশের ক্লাইন্টের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য আপনাকে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতেই হবে। কারণ  বাহিরের দেশের অধিকাংশ প্রফেশনাল মানুষেরাই তুলনামূলক ইনস্টাগ্রামে বেশি একটিভ থাকে। অর্থাৎ এই বিষয়টা স্পষ্ট যে, বর্তমান সময়ে যদি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং (Instagram Marketing) এর কোনো বিকল্প নেই।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কেন করব?

বর্তমানে ইনস্টাগ্রামের ইউজার সংখ্যা বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। তাই আমার মনে হয় না এই প্রশ্ন কারো মনে এখনো থাকার কথা। Instagram ব্যবহার করে আপনি বিপুল সংখ্যক কাস্টমারের কাছে খুব সহজেই পৌঁছাতে পারবেন। শুধু তাই নয় আমেরিকায় প্রায় ৭১% এর বেশি Business Owner-রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে।

এছাড়াও আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে সার্ভিস দিতে চান তাহলে বাহিরের দেশের ক্লাইন্টের সাথে কমিউনিকেশনের জন্য আপনাকে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতেই হবে। কারণ  বাহিরের দেশের অধিকাংশ প্রফেশনাল মানুষেরাই তুলনামূলক ইনস্টাগ্রামে বেশি একটিভ থাকে। অর্থাৎ এই বিষয়টা স্পষ্ট যে, বর্তমান সময়ে যদি অনলাইনে ব্যবসা করতে চান তাহলে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং (Instagram Marketing) এর কোনো বিকল্প নেই।

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কত প্রকার?

ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কে সাধারণত দুইটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমনঃ

  1. Free Instagram Marketing
  2. Paid Instagram Marketing

ফ্রিতে অর্গানিকালি মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে অনেক শ্রম এবং সময় ব্যয় করতে হবে। অন্যদিকে পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার সময় কম ব্যয় হবে এবং আপনি অনেক সহজেই কাঙ্খিত কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে, অর্গানিক মার্কেটিং ইজ বেস্ট। পেইড মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইনভেস্ট করা বন্ধ করে দিলে আপনার মার্কেটিং ও বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি অর্গানিকভাবে মার্কেটিং করে পরিচিতি লাভ করতে পারেন তাহলে তা আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে।

কিভাবে ফ্রিতেই ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করবেন?

ফ্রিতে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এর ব্যাপারে একটা বিষয় আবারও বলে নিচ্ছি। এখানে তুলনামূলক সময় একটু বেশি ব্যয় হবে এবং অনেক পরিশ্রম করতে হবে। ইনভেস্ট করে যে কাজগুলো করা যেত সেগুলোই এখানে আপনাকে সময় এবং শ্রম দিয়ে করে নিতে হবে।

ফ্রিতে ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং করার জন্য যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো হলোঃ

  • ফলোয়ার বৃদ্ধি করা
  • অ্যাক্টিভিটি বাড়ানো
  • অন্যান্য ইউজারদের সাথে যুক্ত হওয়া
  • ফলোয়ারদের দিকে লক্ষ্য রাখা

১। ফলোয়ার বৃদ্ধি করা

ফ্রি মার্কেটিং বা পেইড মার্কেটিং যা-ই করেন না কেন সবার আগে আপনাকে আপনার প্রোফাইলের ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে হবে। ফলোয়ার না বাড়াতে পারলে মার্কেটিং করেও কোনো কাজে আসবে না।

মনে করেন, আপনার একাউন্টে ১০০০ ফলোয়ার আছে। তাহলে আপনি যদি মার্কেটিং করেন তাহলে শুধুমাত্র ঐ ১০০০ মানুষই আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানতে পারবে।

কিন্তু আপনার প্রোফাইলে যদি ১ লক্ষ ফলোয়ার থাকে তাহলে ঐ একইভাবে মার্কেটিং করে আপনি এক লক্ষ মানুষকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানাতে পারবেন। আর এই কারণেই মার্কেটিং শুরু করার আগে ফলোয়ার বৃদ্ধি করা অনেক জরুরী।

২। অ্যাক্টিভিটি বাড়ানো

একাউন্ট তৈরি করে সেখানে যদি কোনো কাজ না করেন তার মানে হল ঐ অ্যাকাউন্টে আপনার কোনো অ্যাক্টিভিটিই নেই। আশানুরূপ ফলাফল পাওয়ার জন্য ফলোয়ার বাড়ানোর পাশাপাশি একাউন্টে এক্টিভিটিও বৃদ্ধি করতে হবে।

অ্যাক্টিভিটি বলতে একাউন্টে কে কি পরিমাণ একটিভ থাকে তার পরিমাণকে বুঝায়। একাউন্টে এক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য নিয়মিত পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। তবে পোস্ট পাবলিশ করার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই আপনার বিজনেস সম্পর্কিত পোস্ট পাবলিশ করতে হবে। কোনো আজেবাজে এবং ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত নয় এমন পোস্ট বিজনেস একাউন্ট থেকে কখনোই পাবলিশ করা যাবে না।

৩। অন্যান্য ইউজারদের সাথে যুক্ত হওয়া

নতুন একটি ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে মার্কেটিং শুরু করার আগে অবশ্যই পুরাতন জনপ্রিয় বিভিন্ন ইউজারদের সাথে যোগাযোগ রাখতে হবে। তাদের পোস্টে নিয়মিত লাইক কমেন্টস বিনিময় করে নিজের পরিচিতি বৃদ্ধি করতে হবে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। এতে করে আপনার একাউন্টের পরিচিতি তো বৃদ্ধি পাবেই পাশাপাশি আপনার একাউন্টে নতুন কিছু ফলোয়ার ও যুক্ত করতে পারবেন। আর এই বিষয়টি আপনার ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং (Instagram Marketing) ক্যারিয়ারকে এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

৪। ফলোয়ারদের দিকে লক্ষ্য রাখা

ফলোয়ার বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আপনি দেখবেন তারা আপনার পাবলিশ করা পোস্ট গুলোতে লাইক, কমেন্টস করা শুরু করবে। এই কমেন্টস গুলোর প্রতি আপনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে এবং সুন্দরভাবে তাদের কমেন্টের রিপ্লাই দিতে হবে।

ফলোয়ারদের সাথে কথোপকথনের মাধ্যমে আপনার প্রতি তাদের বিশ্বস্ততা বৃদ্ধি পাবে। একই সাথে লাইক, কমেন্টস ইত্যাদি বৃদ্ধি পেলে আপনার বিজনেস সম্পর্কে আরো মানুষ জানতে শুরু করবে। এভাবে আপনি আপনার কমিউনিটিকে আরো বড় করে তুলতে পারবেন।

পেইড ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং কিভাবে করবেন?

আপনার যদি ইনভেস্ট করার মত সামর্থ্য থাকে তাহলে অর্থ ব্যয় করে অনেক কম শ্রম দিয়েই পেইড প্রমোশনের মাধ্যমে ইনস্টাগ্রামে পেইড মার্কেটিং করতে পারবেন। মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনি খুব অল্প সময়েই অনেক পরিচিতি লাভ করতে পারবেন। আপনি যদি পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে এক লক্ষ মানুষকে আপনার বিজনেস সম্পর্কে জানাতে চান সে ক্ষেত্রে ইনস্টাগ্রাম কে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে। তখন আপনার বিজনেস এর প্রচারের দায়িত্ব সম্পূর্ণ ইনস্টাগ্রামের।

পেইড ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং (Paid Instagram Marketing) এর ক্ষেত্রে যারা কাঙ্খিত কাস্টমার কিন্তু আপনার ফলোয়ার নয় তাদের কাছেও ইনস্টাগ্রাম কোম্পানি আপনার বিজনেসের প্রচার করবে। এতে করে আপনার একাউন্টে ফলোয়ার বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার বিজনেসের প্রসার অনেক গুনে বেড়ে যাবে।

শেষ কথা

আশা করি, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আজকের ব্লগটি অনেক কাজে আসবে। একজন বিগেইনারর ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং এ সফলতা অর্জনের জন্য যা যা করতে হবে সবকিছু নিয়ে এখানে আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। এরপরেও যদি আপনাদের কোনো প্রশ্ন থাকে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আমরা আপনাকে অবশ্যই সাহায্য করব। ধন্যবাদ।

এই ওয়েবসাইটের সকল কন্টেন্ট (ছবি, লেখা ইত্যাদি) অন্য কোথাও কপি করে বা পরিবর্তন করে পাবলিশ করার আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। যদি কেউ এমন অপরাধমূলক কাজ করেন তাহলে DMCA পাঠানো সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।



Leave a Reply