বেশ কয়েক বছর আগেও ওয়েবসাইট তৈরীর কথা বলতেই আমাদের মাথায় আসতো, পৃষ্ঠা ভর্তি কোডিং, কোন একজন ওয়েব ডেভলপার কে হায়ার করতে হবে, মেইন্টেইনেন্সের জন্য অনেক অর্থ ব্যয় করতে হবে। কিন্তু এখন ওয়ার্ডপ্রেস আসার ফলে পুরো পক্রিয়া পরিবর্তন হয়ে গেছে।
Table of Contents
ওয়ার্ডপ্রেস কি?
বর্তমানে ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে বিশ্বের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় সি এম এস অর্থাৎ (content management system) এটি PHP ও MySQL দ্বারা তৈরি।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৪৫৫ মিলিয়ন ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা তৈরি। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ওয়ার্ল্ড এর সর্বমোট ওয়েবসাইটের প্রায় ৪৮% ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি।
ওয়ার্ডপ্রেস একটি (open source platform)ওপেন সোর্স প্লাটফর্ম, যা দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি এবং ওয়েবসাইটে থাকা নানা ধরনের কনটেন্ট সংরক্ষণ করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কোডিং জানার প্রয়োজন হয় না। এটি হোস্টিং এবং ডোমেইন এর খরচ ছাড়াও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
ব্যবহারকারীদের জন্য,২০০৩ সালের মে মাস এর ২৭ তারিখে ওয়ার্ডপ্রেস কে প্রথম উন্মুক্ত করা হয়। সি এম এসটি যৌথভাবে প্রতিষ্ঠা করেন ডেভেলপার ম্যাট মুলেনওয়েগ এবং মার্কিন উদ্যোক্তা,ইংরেজ ডেভেলপার মাইক লিটল। এই সুদীর্ঘ পথ চালায় ওয়ার্ডপ্রেসের জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বাড়ছে। প্রতিষ্ঠাতাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল তারা এমন একটি সিএমএস তৈরি করা যা ব্যবহার করা সহজ এবং যা সকল ওয়েবসাইট তৈরির রিসোর্স দ্বারা পূর্ন থাকবে। এভাবেই প্রতিনিয়ত ওয়ার্ডপ্রেসের একদিকে যেমন উন্নতি হতে থাকে অপরদিকে এর জনপ্রিয়তা ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
২০০৯ সালের দিকে ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন সিস্টেমকে আরো আপডেট করে যার দরুন, যেখানে বছরের শুরুর দিকের জরিপে দেখা যায় ৫ মিলিয়ন ব্লগ পোস্ট ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেখানে বছর শেষ হতে না হতে একটি জরিপে দেখা যায় প্রায় ১০ মিলিয়ন ব্লগ পোস্ট ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২১ সালে এক জরিপে জানা যায় বিশ্বের ৬৮.৮% ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি হয়েছে। এটি ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য বিশাল সফলতার ব্যাপার।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন জনপ্রিয়
একসময় ওয়েবসাইট তৈরি করা ব্যাপক জটিল এবং ব্যয়বহুল ছিলো। এটি শেখার জন্য বিভিন্ন কোডিং ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে ব্যাপক জ্ঞানেরও দরকার ছিলো। ওয়েবসাইট তৈরি করা এত কঠিন হওয়ার কারণে সাধারণ জনগণ ওয়েব সাইট ব্যবহারের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতো না।
কিন্তু CMS আসার ফলে সব ধরনের জটিলতা কমে যায় এবং ওয়েবসাইট ব্যবহারে সাধারণ গ্রাহকগণ আগ্রহী হয়ে ওঠে। এতে কারিগরি জটিলতা এবং খরচ অনেকাংশে কমে আসলেও অনেক সময়ে নিজের পছন্দ মতন ওয়েবসাইট তৈরি করা যেত না। যদিও গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেছে সিএমএস,তবে এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস।
নিত্যনতুন বিভিন্ন ধরনের ফিচার এবং সুযোগ-সুবিধা, হাজারের বেশি থিম, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় প্লাগ ইন-টুলস এসবের সমন্বয়ে ওয়ার্ডপ্রেস সি এম এস জগতে নিজেকে অন্যান্য সি এম এস এর তুলনায় আলাদাভাবে গড়ে তুলেছে। এভাবেই ওয়ার্ডপ্রেস অন্যান্যদের তুলনায় জনপ্রিয়তা অর্জন করে চলেছে।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন
ওয়ার্ডপ্রেস খুব সহজেই শেখা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে খুবই সহজ উপায়ে এবং স্বল্প সময়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এটির মেইনটেইন খরচ কম ও সহজে ব্যবহারযোগ্য বলে এটির চাহিদা ব্যাপক আকারে দিন দিন বাড়ছে। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারদের বর্তমানে শুধু ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার রয়েছে এমনটা নয় বরং কর্পোরেট অফিস,আইটি ফার্ম গুলোতেও চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ওয়ার্ডপ্রেস শেখার মাধ্যমে খুবই স্বল্প সময়ে উপার্জন করা যায়। তবে আয় করার জন্য WordPress customization শিখতে হয়। ওয়ার্ডপ্রেস শেখার নানা কারণ থাকতে পারে সেগুলো হলোঃ
১। বিজনেস এর জন্য
নিজের ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে আসার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ওয়েবসাইটের, সেক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস শেখা থাকলে নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করা যাবে এবং পরিচালনা বিষয়ক কাজ করা যাবে।যেকোনো ধরনের ই- কমার্স ওয়েবসাইট বা বিজনেস, এগুলোকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে ওয়ার্ডপ্রেস শেখাটা অত্যন্ত কার্যকরী।
২। ফ্রিল্যান্সিং বা অনলাইনে আয় করার জন্য
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে একটি ব্যাপক আয়ের উৎস তৈরি হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানিতে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপারের প্রয়োজন হয়ে থাকে ফলে আমরা ঘরে বসে থেকেই রিমোট জব করে প্রচুর পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারি ।
৩। ব্লগিং
বর্তমানে ব্লগিং অত্যন্ত জনপ্রিয় বিষয় হয়ে উঠেছে। ব্লগিং এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হলো একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। তুলনামূলক কম সময় এবং সহজ উপায়ে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায় বলে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগারদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নিজের ওয়েবসাইট তৈরি করতে ও ব্লগিং করতে ওয়ার্ডপ্রেস শেখা যেতে পারে।
৪। ফিক্সড জব
এখন অনেক প্রতিষ্ঠানে নিজেদের ওয়েবসাইট পরিচালনা বা বিজনেস ম্যানেজমেন্টের জন্য ছোট ছোট জবের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারদের নিয়োগ দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ওয়ার্ডপ্রেস এক্সপার্ট হলে খুব সহজেই যেকোনো দেশীয় বা বিদেশি প্রতিষ্ঠানে ফিক্সড জব করা যেতে পারে।
ওয়ার্ডপ্রেস এ ২ ভাবে কাজ করা যায়।
- Coding(কোডিং)এর মাধ্যমে ডিজাইনঃ আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসের ম্যানুয়ালি কোডিং করে যেকোনো ধরনের ডিজাইন করতে পারেন।
- Non coding(নন কোডিং) এর মাধ্যমে ডিজাইনঃ সহজ ভাষায় ড্রাগ এন্ড ড্রপ বা নন কোডিং এর সাহায্যে ওয়ার্ডপ্রেস কাস্টমাইজেশন করা যায়। নন কোডিং ডিজাইনগুলো করতে বেশ কিছু টুলস এর প্রয়োজন হয় যেমন থিম – প্লাগ ইন ইনস্টল, রেড়ি থিম করে সাইট বিল্ডারের সাহায্যে ওয়েবসাইট তৈরি করা ইত্যাদি ।
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কি কি ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়
একটা সময় ছিল যখন ওয়ার্ডপ্রেস শুধুমাত্র ব্লগ তৈরি এবং কিছু ছোট ছোট ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হতো। কিন্তু পরবর্তীতে এটির ব্যাপক পরিবর্তন করা হয় যার মাধ্যমে এই সি এম এস ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
ওয়ার্ড প্রেস দিয়ে যে ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় সেগুলো হলো
- (Personal blog)পার্সোনাল ব্লগ
- (News Website) নিউজ ওয়েবসাইট
- Portfolio website(পোর্টফলিও ওয়েবসাইট
- Food and restaurant website(ফুড এন্ড রেস্টুরেন্ট ওয়েবসাইট)
- Forum website(ফোরাম ওয়েবসাইট)
- Real estate website(রিয়েলি স্টেট ওয়েবসাইট)
- Business website(বিজনেস ওয়েবসাইট)
- E-commerce website (ই-কমার্স ওয়েবসাইট)
- Membership website(মেম্বারশীপ ওয়েবসাইট)
- Magazine website(ম্যাগাজিন ওয়েবসাইট) ইত্যাদি।
এগুলো ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে, আরো অনেক ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধা
ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি ওয়ার্ডপ্রেস একটি বিখ্যাত এবং জনপ্রিয় সি এম এস। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারের বিভিন্ন ধরনের সুবিধা রয়েছে সেগুলো হলো-
- প্রথমত, এরকম অ্যাডভান্সড একটি সফটওয়্যার পাওয়া যায় একদম ফ্রিতে, অর্থাৎ ওয়ার্ড প্রেস ব্যবহারের জন্য কোন টাকা বা ফি দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
- এটি সম্পূর্ণ ইন্টারনেট ভিত্তিক পরিচালিত ফলে ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ও ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে নিজের ওয়েবসাইটের কাজ এবং ব্লগ যেকোনো জায়গায় করা যায়।
- ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে পুরোটাই SEO friendly- এখানে এমন কিছু standard code রয়েছে যা ব্যবহারের মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় ও অনেক সহজেই ওয়েবসাইট বা ব্লগ গুগল সার্চ ইঞ্জিনে (index) হয়ে যায়।
- এই ওয়েবসাইটটি হ্যাক না হবার সম্ভাবনা ৯৮% বা নেই বললেই চলে। ওয়ার্ড প্রেস এ ইউজার এর সংখ্যা কোটি কোটি হওয়ায় এখানে নিরাপত্তার দিক থেকে বেশ ভালো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
- সিএমএস সফটওয়্যার টি ব্যবহার করে শুধুমাত্র ওয়েবসাইট বা ব্লগ ছাড়াও আরো অনেক ধরনের সাইট তৈরি করা যায়। যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ই-কমার্স ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
- এখানে বিনামূল্যে হাজার হাজার থিম এবং প্লাগিন পাওয়া যায় যা ব্যবহার করে অনেক রকমের ডিজাইন তৈরি করা যায়।
- এখানে খুব সহজেই থিম বদলে নিজের ব্লগের ডিজাইনও বদলে ফেলা যায়।
- ওয়ার্ডপ্রেসে সব ধরনের Advance Features রয়েছে।যেমন – SEO friendly structure, social sharing options, easy customization, responsive website design, plugins ও আরো অনেক কিছু।
- কাস্টোমাইজ অপশনের মাধ্যমে নিজের ব্লগ এডিট এবং ডিজাইন করা যায় live preview সহ ।
- ইন্টারনেটের মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে অনেক ভিডিও এবং টিয়টোরিয়াল ও আর্টিকেল পাওয়া যায় ,যার মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস শেখাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। উপরের পয়েন্ট গুলো ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস শেখার অনেক ধরনের সুবিধা রয়েছে।
ওয়ার্ডপ্রেসের অসুবিধা
ওয়ার্ডপ্রেসের এত বেশী সুবিধা রয়েছে যা অন্য যেকোন সি এম এস এ নেই। তবে এর পাশা পাশি কিছু সিমাবদ্ধতাও রয়েছে যেমনঃ
- একাধিক প্লাগিন ব্যাবহারের ফলে ওয়েব সাইট ভারি হয়ে যায় ফলে লোডিং স্পিড বৃদ্ধি পায়।
- ভালো মানের অনেক থিম প্রিমিয়াম, ফলে অর্থ ব্যয় করতে হয়।
- অনেক প্লাগিনের ফিচারও প্রিমিয়াম ফলে এতেও অর্থ ব্যয় হয়।
ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে ওয়েবসাইট বানাতে যা প্রয়োজনঃ
মূলত ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে যেগুলো প্রয়োজন হয়। সেগুলো হচ্ছে –
- হোস্টিং
- ডোমেইন
- প্লাগিন
- থিম
ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং প্লাগিন কি?
ওয়ার্ডপ্রেস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল থিম এবং প্লাগিন এর ব্যবহার। এগুলো ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের যাবতীয় ইন্টারফেস পরিবর্তন করা সম্ভব। নিম্নে থিম ও প্লাগিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম
মূলত ওয়ার্ডপ্রেস থিম হলো ওয়েবসাইটের (framework) অর্থাৎ কাঠামো। একটি থিম এর উপরে নির্ভর করে কেমন হবে ওয়েবসাইটের ডিজাইন, ফাংশন এবং ফিচার ইত্যাদি বিষয় নির্ভর করে। ওয়ার্ডপ্রেস তৈরির জন্য অনেক রকমের ফ্রি এবং প্রিমিয়াম থিম পাওয়া যায়। এখানে একেক রকমের অপশন এবং ফিচার যুক্ত করা থাকে ও ডিজাইনেও অনেক ধরনের পার্থক্য থাকে । একটি থিমে ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট, কালার, লে-আউট স্টাইল ইত্যাদি অনেক রকমের ফিচার যুক্ত করা থাকে ওয়েবসাইটটিকে কাস্টোমাইজ করার জন্য WordPress.org এইখানে যাবতীয় ওয়ার্ডপ্রেসের ফ্রি থিম পাওয়া যায়।
এছাড়াও প্রিমিয়াম থিমের কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস রয়েছে সেগুলো হলো-
- Mythemeshop
- Elegantthemes
- CSSigniter
- Templatemonster
- Themegrill
- Themeforest
উল্লেখিত মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে plugine এবং ওয়ার্ডপ্রেস premium theme কেনা যায়।
ওয়ার্ল্ডপ্রেস প্লাগিন
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন এর ব্যবহার রয়েছে মূলত ,ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং নতুন ফিচার যুক্ত করার জন্য। ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগিন, স্মার্টফোনে ব্যবহৃত সফটওয়্যারের মতন অনেকটাই । স্মার্টফোনে যেমন অনেকগুলো অ্যাপ বা সফটওয়্যার ইন্সটল করে ব্যবহার করা যায় ঠিক তেমনি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের জন্য অনেক রকমের প্লাগিন পাওয়া যায়। যা ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড থেকে ইন্সটল করতে হয় এবং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট টিকে সুন্দর করে সাজানো ও এর কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা যায়। অর্থাৎ এভাবে এসব প্লাগিনের মাধ্যমে নিজের ওয়েবসাইটকে, নিজের মতন করে কাস্টমাইজ বা সাজানো যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে আয়
ওয়ার্ডপ্রেস থেকে আয় করতে হলে প্রথমে এর সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকা জরুরি। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে কিভাবে কাজ করে,এর কাজ কি, ফিচার কি কি এগুলো জানার মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় । ওয়ার্ডপ্রেস জানার জন্য কোডিং শেখাটা খুব একটা প্রয়োজনীয় নয় তাই একটু সময় দিলেই আমরা খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে শিখতে পারবো। তবে যারা কোডিং এর বিষয়ে জ্ঞান রাখেন তাদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস শেখা আরো সহজ। বর্তমানে অনলাইনে অনেক পেইড ও ফ্রী কোর্স রয়েছে ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য।
ওয়ার্ডপ্রেস শেখার জন্য জনপ্রিয় কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। সেগুলোর তালিকা –
- WP beginner
- WP 101
- WordPress TV
- WordPress Codex
- Ithemes Training
- TutsPlus WordPress
- Udemy
- Smashing Magazine
- WP KUBE
শেষকথা
সমালোচনা এবং প্রশংসা দুটো মিলেই এগিয়ে চলেছে ওয়ার্ডপ্রেস। ইতিমধ্যেই ওয়ার্ডপ্রেস তার ব্যবহারকারীদের জন্য, কোডিং বিহীন ওয়েবসাইট তৈরির অসাধারণ অভিজ্ঞতা তৈরি করেছে। ভবিষ্যতে ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আসছে আরো ব্যাপক আকারের ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস যার দ্বারা পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ওয়েবসাইট তৈরি করা যাবে আরো সহজে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.