আমরা অনেকেই ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন দেখে থাকি। এখন হয়তো সবাই ভাববেন এটি কিভাবে সম্ভব? এর উত্তর হচ্ছে, প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে। হ্যাঁ, প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যমে ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই আর্টিকেলটিতে প্যাসিভ ইনকামের কয়েকটি পদ্ধতি তুলে ধরব যার মাধ্যমে খুব সহজেই ঘরে বসে নিয়মিত কাজ না করেও প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।
তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেলটি।
Table of Contents
অনলাইনে টাকা ইনকামের পদ্ধতি
অনলাইন থেকে অনেকভাবেই টাকা ইনকাম করা যায়। তবে মৌলিক ভাবে অনলাইনে ইনকামকে আমরা দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। যেমন,
১। একটিভ ইনকাম
২। প্যাসিভ ইনকাম
১। একটিভ ইনকাম কি? (What is Active Income?)
একটিভ ইনকাম হচ্ছে এমন পদ্ধতি যেখানে, আপনি কাজ করলে টাকা পাবেন আর কাজ না করলে টাকা পাবেন না। যেমন একজন কন্টেন্ট রাইটার ততক্ষণ পর্যন্ত টাকা পাবে যতক্ষুণ ক্লায়েন্ট তাকে কাজ দিবে এবং সে কাজটা করতে থাকবে। এটার বাহিরে সে কোনো টাকা পাবেনা। কন্টেন্ট রাইটার যদি তার কন্টেন্ট লেখার কাজটি বন্ধ করে দেয় তাহলে তার টাকা ইনকাম হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।
২। প্যাসিভ ইনকাম কি? (What is Passive Income?)
প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন এক পদ্ধতি যেখানে একবার কোন একটি কাজ করে পরবর্তীতে কাজ না করলেও সেখান থেকে টাকা আসতে থাকে। উদাহরণস্বরুপ, আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার। আপনি একটি ডিজাইন তৈরী করে মাইক্রোস্টক সাইটে ডিজাইনটি আপ্লোড করে দিলেন। সেখান থেকে যতজন ডিজাইনটি ডাউনলোড করবে তত পরিমাণ টাকা আপনার একাউন্টে টাকা যোগ হতে থাকবে। অর্থাৎ আপনি একবার একটি কাজ করলেন এবং পরবর্তীতে আর কোন কাজ না করেও সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারছেন। এটিই হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম।
অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার সহজ উপায়
এতক্ষণে আমরা প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছি। এখন আমরা অনলাইনে প্যাসিভ ইনকামের সহজ ৮ টি উপায় জানবো-
১। ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকাম
অনেকেই শখের বসে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। আর এই লেখালেখির মাধ্যমে যদি ইনকাম হয় তাহলে ব্যাপারটা অনেক মজার না! জি, তবে আমি আপনাকে খাতা, ও পত্র পত্রিকায় লেখার কথা বলতেছি না। আমি বলছি অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত ব্লগ ওয়েবসাইটে লেখালেখির কথা। অনলাইনে নিজের ব্যক্তিগত ব্লগে নিজের পছন্দ অনুযায়ী লেখালেখি করে ভালো পরিমাণের টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেকেই হয়তো এখানে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ইনকামের কথা ভাববেন । ব্লগিং করে গুগল এডসেন্স ছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে হালাল ভাবে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। তার মাঝে অন্যতম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সর প্রডাক্ট প্রমোশন, ও ব্রান্ড প্রমোশন ইত্যাদি। এসবের মাধ্যমে খুব সহজে প্যাসিভ ইনকাম করা সম্ভব।
উদাহরণ স্বরুপ মনে করুন, আপনার একটি ওয়েবসাইট আছে। আপনি সেখানে বিভিন্ন ট্র্যাভেল রিলেটেড আর্টিকেল লিখেন। আপনি বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও দর্শনীয়স্থান নিয়ে লেখালেখি করেন। যেমন সুন্দরবন,বান্দরবন,লালবাগ কেল্লা,সাজেক ভ্যালি ইত্যাদি প্লেসগুলোতে কি কি রয়েছে? কেন জায়গাগুলি আকর্ষণীয়?, এই প্লেসগুলোতে কিভাবে যেতে হয়?, খরচ কেমন হতে পারে? ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আপনার লেখা আর্টিকেলগুলোতে তথ্য থাকে।
আপনি আর্টিকেলের মাঝে অথবা শেষে কোনো একটি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল এজেন্সির লিংক দিয়ে রাখতে পারেন।আপনার ওয়েবসাইটে যারা আর্টিকেল পড়তে আসে তাদের মধ্যে কেউ যদি লিংকে ক্লিক করে সেই ট্র্যাভেল এজেন্সির সার্ভিসটি কিনে তাহলে আপনি সেই ট্র্যাভেল এজেন্সি থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন। এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ব্র্যান্ড প্রমোশনের কাজও করতে পারবেন আপনার লেখার মাধ্যমে।
২। ইউটিউব ভিডিও তৈরি করে প্যাসিভ ইনকাম
প্যাসিভ ইনকাম করার আরেকটি চমৎকার উপায় হচ্ছে ইউটিউব ভিডিও তৈরি করা। আপনি যে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পছন্দ করেন তার উপর ভিত্তি করে ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে পাবলিশ করতে পারেন। এতে আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় বৃদ্ধি পাবে, এবং আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হবে। এই ব্র্যান্ড ভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সর প্রোডাক্ট প্রমোশন, ও অন্যের ব্রান্ড প্রমোশনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এক্ষেত্রে আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান, বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হবে। এরপর ইউটিউবেও ভিডিও আপ্লোড করার সময় ডেসক্রিপশন বক্সে অ্যাফিলিয়েট পণ্যের লিংক দিতে হবে। সেখান থেকে এই লিঙ্কে ক্লিক করে যতজন প্রডাক্টটি কিনবে আপনি তত জনের জন্য কমিশন পাবেন। এভাবে ইউটিউব প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে আপনি অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
৩। মাইক্রোস্টকে ছবি বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম
আমরা শখের বসে ছবি তুলতে সবাই পছন্দ করি। আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে থাকে। এখন যদি আপনার তোলা এই ছবিগুলো বিক্রি করার মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করা যায়, তাহলে ব্যাপারটা মজার না। আপনি চাইলে আপনার তোলা ছবিগুলোকে ছবিগুলো বিভিন্ন মাইক্রোস্টক সাইটে বিক্রি করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে জাস্ট মাইক্রোস্টক সাইটে ছবি আপ্লোড করতেভবে। এরপর যতজন আপনার ছবি ডাউনলোড করবে আপনি তত টাকা পেতে থাকবেন।
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় মাইক্রোস্টক সাইট গুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে, Shutter Stock, iStockPhoto, Adobe Stock, Freepik, Vecteezy ইত্যাদি। এই সাইট গুলোতে সেলার বা ক্রিয়েটর একাউন্ট তৈরি করে ছবি বিক্রি করার পর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা হলে আপনি ব্যাংক বা কোনো ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে টাকাটা উইথড্র করতে পারবেন।
৪। অনলাইনে কোর্স বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম
আপনি যদি কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সেটার উপর কোর্স বানিয়ে বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে অভিজ্ঞ হন, সেক্ষেত্রে কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হয় এসম্পর্কে আপনি একটি কোর্স বানিয়ে ফেলতে পারেন। এরপর বিভিন্ন কোর্স বিক্রির সাইটে আপ্লোড করতে হবে। এবার সেখান থেকে যতজন আপনার কোর্সটি কিনবে আপনি সেখান থেকে টাকা পেতে থাকবেন। এভাবে আপনি কোর্স বিক্রি করে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় কোর্স বিক্রির ওয়েবসাইট গুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে, Udemy, Skillshare, Coursera, LinkedIn Learning, FutureLearn, edX, ও Kajabi অন্যতম। এই ওয়েবসাইটগুলোতে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, জার্মান, হিন্দি, ও বিভিন্ন ভাষার কোর্স বিক্রি হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি একই কোর্স বিভিন্ন ভাষায় রূপান্তর করে বিক্রি করতে পারবেন। এ সাইটগুলো ছাড়াও ফেসবুক,ইউটিউব,ক্লাসিফাইড ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন জায়গায় আপনার কোর্সটির মার্কেটিং করতে পারেন।
৫। অ্যামাজন কেডিপিতে বই লিখে প্যাসিভ ইনকাম
আপনি যদি বই লিখতে পছন্দ করেন প্যাসিভ ইনকামের এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য। প্রথাগত বই প্রকাশ করার বিষয়টি থেকে অনলাইনে বই প্রকাশের ব্যাপারটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। অনলাইনে বই প্রকাশের ক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে করে প্রকাশনীর দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। অনলাইনে বই প্রকাশ করার বিষয়টি Amazon সবার জন্য সহজ করে দিয়েছে। আপনার লেখা বইটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ফরমেটিং করে আপনার লেখা ডিজিটাল বইটি Amazon Kindle এ আপলোড করতে হবে। এরপর বই বিক্রি করা থেকে শুরু করে, পাবলিশ করা পর্যন্ত সকল কাজ Amazon Kindle আপনার হয়ে করে দিবে।
Amazon Kindle তে আপ্লোড করার পর সেই বইটি নিয়ে টুইটার,ইনস্ট্রাগ্রাম,ইউটিউব, ফেসবুক ইত্যাদিতে মার্কেটিং করতে হবে। এখন যতজন আপনার বইটি কিনবে আপনি তত টাকা পেতে থাকবেন। এভাবে আপনি অনলাইনে বই লিখে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে পাবলিশিং করার জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো হচ্ছে, Amazon Kindle, Lulu, IngramSpark, Barnes & Noble Press, ও Smashwords ইত্যাদি।
৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম
যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রমোট ও বিক্রির ব্যবস্থা করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতিটি সেলের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেওয়া হয় । অর্থাৎ আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে দেন তাহলে বিক্রয়ের উপর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিবে। অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। এখানে আপনাকে কোন পণ্য তৈরি করতে হচ্ছে না অথবা পণ্য বিক্রির পর তার সার্ভিসিং ওয়ারেন্টি দিতে হচ্ছে না। এখানে আপনার কাজ হচ্ছে মার্কেটিং করে পণ্য বা সেবা বিক্রি করে কমিশন নেওয়া।
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে তাহলে প্যাসিভ ইনকামের এই পদ্ধতিটি আপনার জন্য অনেক কার্যকরী। বর্তমান সময়ে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। পণ্য ও সেবা ভেদে বিভিন্ন প্রকার অ্যাফিলিয়েট কমিশন দেওয়া হয়ে থাকে। পণ্য বা সেবা বিক্রির পর আপনার অ্যাফিলিয়েট একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন যোগ হবে, এরপর আপনার ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে তা উত্তোলন করতে পারবেন।
৭। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম
প্যাসিভ ইনকাম করার আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (influencer marketing) হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে ব্যাক্তিগত পরিচিতি কে কাজে লাগিয়ে কোনো একটি পন্য, সেবা, বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার বা প্রমোশন করা হয়। বর্তমান সময়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইনফ্লুয়েন্সার বলতে আমরা এমন সব মানুষদের কে বুঝি যারা অন্যদেরকে মোটিভেট বা প্রভাবিত করতে পারে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে অনেক বেশি ফ্যান ফলোয়ার্স যাদের থাকে তারাই সাধারণত ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে বিবেচিত হয়।
বর্তমান মার্কেটের চাহিদার উপর ভিত্তি করে একজন ন্যানো ইনফ্লুয়েন্সার প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারে। লোকাল মার্কেটের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতেও ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এই মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি কতৃপক্ষ তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েন্সার নিয়োগ দিয়ে থাকে।
৮। ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে প্যাসিভ ইনকাম
প্যাসিভ ইনকামের আরেকটি সহজ উপায় হচ্ছে ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করা। ওয়েবসাইট ফ্লিপিং হচ্ছে এমন একটি ব্যবসা যেখানে আপনি একটি নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তারপর সেটি কয়েক মাস সময় দিয়ে ভিজিটর আনবেন। যখন ওয়েবসাইটটি থেকে ইনকাম শুরু হবে তখন সেটি বিক্রি করে দিবেন। এ প্রক্রিয়ায় ওয়েবসাইট থেকে যে পরিমাণ টাকা আয় হয় তার ১৫ – ২০ গুণ বা আরও বেশি দামে তা বিক্রি করা সম্ভব। বর্তমানে এই পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওয়েবসাইট ফ্লীপিং করে বিক্রি করার জন্য অনেকগুলো ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেস গড়ে উঠেছে।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করতে হলে অধিক চাহিদা সম্মত নিস বাছাই করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। এরপর সেটি মার্কেটিং করার মাধ্যমে ট্রাফিক জেনারেট করতে হবে। ট্রাফিক জেনারেট করে উক্ত ওয়েবসাইট থেকে কিছু টাকা ইনকাম করা হলে, এই ওয়েবসাইটটি আপনি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করার জন্য জনপ্রিয় সাইটগুলো হচ্ছে, Flippa, Trademysite, Afternic, Freemarket, ও Website Broker অন্যতম।
শেষ কথা,
আমি আশা করি যে, এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অনলাইন প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করা যায় সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পেয়েছেন। এখন আপনি চাইলে উপরের ৮ ক্যাটাগরি থেকে যেকোনো একটি ক্যাটাগরি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। কাজ শুরু করার আগে আপনাকে উক্ত কাজগুলো সম্পর্কে ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে এরপর আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। তা না হলে আপনি কাজে সাফল্য পাবেন না এবং আপনার হতাশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো ভালো ট্রেনিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন, এতে করে আপনি যে কোন বিষয়ে ভালোভাবে শিখতে পারবেন এবং দ্রুত কাজের সাফল্য আসবে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.