ব্যবসায় সাফল্যর জন্য সঠিকভাবে ব্যবসার প্রচারণা করাটা খুবই জরুরি। আধুনিকতার এই যুগে প্রচারণার ব্যবস্থাটিও হয়ে উঠেছে আধুনিক। ডিজিটাল চ্যানেল গুলো ব্যাবহার করে প্রচারণার এই আধুনিক বিষয়টিই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এখন আর ব্যবসার প্রচারণার জন্য মাইকিং করে মানুষকে জানানোর প্রয়োজন হয় না। যদিও মাইকিং প্রথা একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যায়নি, তবে কমে এসেছে এটা সহজেই অনুমেয়। মার্কেটিংয়ের জন্য ডিজিটাল মাধ্যম গুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন।
Table of Contents
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো পণ্য বা সেবা প্রচার-প্রসারের জন্য ডিজিটাল মাধ্যমগুলি ব্যবহার করে প্রচারনা করার একটি প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায়, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট, ব্লগ, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য ডিজিটাল চ্যানেলগুলির ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে মার্কেটিং করা হয়। এর মাধ্যমে যে কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ড তাদের কাঙ্খিত গ্রাহকদের সাথে সংযুক্ত হতে সংযুক্ত হয়ে, ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি ?
বর্তমানে ব্যবসার উন্নতির জন্যে সবচেয়ে কার্যকরী কৌশল হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এটি অনেক বিস্তৃত একটি বিষয় যা সহজে অল্প কথায় বর্ণনা করা খুব কঠিন। অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চাচ্ছেন কিন্তু বুঝতে পারছেন না কিভাবে শুরু করা যায় বা কী কী বিষয় এর সাথে সম্পর্কিত। কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং শুধুমাত্র একটি বিষয় নয়, এখানে অনেকগুলো স্বতন্ত্র বিষয় রয়েছে যার সবগুলো মিলে একটা ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর। ডিজিটাল মার্কেটিং কে ৯টি প্রধান ভাগে বা কাজে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন:
- সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (SEO)
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
- কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
- ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer Marketing)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
- ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
- ভিডিও মার্কেটিং ( Video Marketing)
- সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing)
১। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO)
যে কৌশল প্রয়োগ করে একটি ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে আনা হয় তাকেই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ওয়েবসাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া, এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা এবং সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা। এক্ষেত্রে সর্বাধিক জনপ্রিয় ও ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন গুগল কেই প্রাধান্য দেয়া হয় বেশিরভার ক্ষেত্রে। অনেক মানুষ এই সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে বলে সবাই চায় এখানে সার্চ দিলে যেনো নিজের ওয়েবসাইটটি প্রথম সারিতে থাকে।
২। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম একটি শাখা। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে আমরা কোনো সার্চ ইঞ্জিন এর পেইড অ্যাডভার্টাইজিং অপশন ব্যবহার করে টাকার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে কোনো কিওয়ার্ড কে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আনতে পারি। এর আগে আমরা জেনেছি, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আমরা কোনো একটি ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শিত রেজাল্টের প্রথম পাতায় আনতে পারি কোনো প্রকার টাকা খরচ না করে। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া ছিল। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে স্বল্প মেয়াদী বিজ্ঞাপনের দিয়ে অর্থ খরচ করে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় আসা যায়।
৩। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কোনো কিছু খুঁজে পেতেও সার্চ ইঞ্জিনের বদলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার হয়। মনে করুন আপনি একটি মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন। কনটেন্ট মার্কেটিংএখন আপনি খুব সহজে ফেসবুকের সার্চ বারে মোবাইল লিখে সার্চ করে মার্কেটপ্লেস অপশন থেকে মোবাইল খুঁজে পারেন। এখনকার দিনে প্রায় প্রতিটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানির নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল রয়েছে।
৪। কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
Content Marketing মূলত কন্টেন্টকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কোনো প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সমূহের উপকারিতা বা কোনো বিশেষ তথ্য যে মাধ্যমে তাদের টার্গেট কাস্টমারদের কাছে শেয়ার করে থাকে তাকে কন্টেন্ট মার্কেটিং বলে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে প্রমোশনের সময় কনটেন্ট লাগবেই। আপনি কাস্টমারদের ই-মেইল করবেন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিবেন বা ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন অবশ্যই সুন্দর একটি কন্টেন্টের প্রয়োজন হবে।
৫। ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং (Influencer Marketing)
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হচ্ছে এমন এক ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি যেখানে ব্যাক্তিগত পরিচিতি কে কাজে লাগিয়ে কোনো একটি পন্য, সেবা, বা প্রতিষ্ঠানের প্রচার বা প্রমোশন করা হয়। বর্তমান সময়ে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইনফ্লুয়েন্সার বলতে আমরা এমন সব মানুষদের কে বুঝি যারা অন্যদেরকে মোটিভেট বা প্রভাবিত করতে পারে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে অনেক বেশি ফ্যান ফলোয়ার্স যাদের থাকে তারাই সাধারণত ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে বিবেচিত হয়।
৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
যে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে প্রমোট ও বিক্রির ব্যবস্থা করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এক্ষেত্রে সাধারণত প্রতিটি সেলের বিপরীতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দেওয়া হয় । অর্থাৎ আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে দেন তাহলে বিক্রয়ের উপর আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন দিবে। কোম্পানিভেদে আফিলিয়েট কমিশন এর পরিমাণ ভিন্ন হয়। আমাদের খেয়াল রাখা উচিত মিথ্যা তথ্য দিয়ে বা চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে কাস্টমারকে প্রলুব্ধ করা যাবে না।
৭। ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
কোন একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য, অফার, প্রমোশন ইত্যাদি ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠিয়ে যে মার্কেটিং করা হয় তাকে ই-মেইল মার্কেটিং বলে। মূলত এখানে ই-মেইল পাঠিয়ে সেলস জেনারেট করার চেষ্টা করা হয়। এটি একটি ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজি। এ পদ্ধতিতে কাস্টমারের কাছে সরাসরি কোনো একটি পণ্যের বিজ্ঞাপন বা তথ্য দেখানো যায়। ই-মেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা কে সরাসরি কাস্টমারের ইনবক্সে পাঠানো সম্ভব হয় বিধায় এটি সেলস বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৮। ভিডিও মার্কেটিং ( Video Marketing)
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে আগ্রহ থাকলে, আমার ধারণা আপনি ভিডিও মার্কেটিং সম্পর্কেও শুনে থাকবেন। ভিডিও মার্কেটিং হচ্ছে ভিডিও এর মাধ্যমে আপনার পণ্য বা সেবা পর্যন্ত অডিয়েন্সকে নিয়ে আসার একটি মাধ্যম। মার্কেটিংয়ের বেশ কয়েকটি প্রক্রিয়াকে একসাথে একত্রিত করে ভিডিও মার্কেটিংয়ের কাজ করা হয় । বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম এবং স্ন্যাপচ্যাটের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মগুলোতে ভিডিও মার্কেটিংয়ের সাহায্যে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সার্ভিসকে প্রমোট করা হয়।
৯। সিপিএ মার্কেটিং (CPA Marketing)
সিপিএ মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্যতম একটি অংশ। এটি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি বিশেষ কৌশল। সিপিএ শব্দের পূর্ণরূপ হল Cost Per Action. বর্তমানে অনেক ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছেন যারা সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছেন। এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। আমরা জানি যে পণ্যের প্রচার এবং প্রসার এর জন্য মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যবসার প্রচার এবং ব্র্যান্ডিং করতে চাইলে অবশ্যই মার্কেটিং করা প্রয়োজন। সিপিএ মার্কেটিংয়ে পণ্য উৎপাদনকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রচার এবং প্রমোশনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে মার্কেটারদের কাছ থেকে প্রচার করে নিয়ে থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?
বর্তমান সময়ে আমরা ডিজিটাল যুগে বাস করছি, যেখানে ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলি আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোর মাধ্যমে আমরা মুহূর্তের মাঝে যেকোন কিছু করতে পারে এবং খুঁজে পেতে পারে অজস্র তথ্য। যুগের এই পরিবর্তনে ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছুই এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যার ফলে অনলাইন কেন্দ্রিক সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে মার্কেটিং এর উপর ঝুঁকে পড়ছে। কেনই বা ঝুঁকে পড়বে না,ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাঙ্খিত ক্রেতাদের নিকট খুব সহজেই তাদের পণ্য, বা সেবার গুণগতমান তুলে ধরতে পারছে, যা অ্যানালগ মার্কেটিং পদ্ধতিতে করা খুবই দুষ্কর, ও সময় সাপেক্ষ।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং করার অনেকগুলো সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, যা নিম্নে তুলে ধরা হলো-
১। বিপুল সংখ্যক সম্ভাব্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যেকোন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারেন। এতে করে আপনি সারা পৃথিবীব্যাপী আপনার ব্যবসার সম্ভাব্য গ্রাহকের সংখ্যাকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যেকোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যবসার গ্রাহকের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারেন।
২। নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে
বর্তমান বিশ্বে মোট প্রায় ৪.৬৬ বিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। যাদের মাঝে ৫৫% মানুষ যেকোন পন্য ক্রয়ের জন্যে অনলাইন ও সামাজিক মাধ্যমগুলির ওপর নির্ভরশীল। এই বিপুল সংখ্যক মানুষদের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা তুলে ধরতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প নেই। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের কাছে নির্দিষ্ট ভাবে যুক্ত হতে পারেন। আরও নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে আপনি আপনার গ্রাহকদের আগ্রহ, বয়স, অবস্থান, ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনি আপনার মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন।
৩। ব্যবসার পরিচিতি ও পরিধি বাড়াতে
ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্যবসার পরিচিতি ও পরিধি বাড়াতে সাহায্য করে। বর্তমান সময়ে ৭০% ক্রেতা যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টার্নেটে সার্চ দিয়ে সেই পণ্য সম্পর্কে যাচাই বাছাই করেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে টার্গেট করে যদি আপনি আপনার ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে পারেন, এতে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে এবং আপনার ব্যবসার প্রতি আগ্রহী হবে। ফলে অতি দ্রুত আপনি আপনার ব্যবসার পরিচিতি এবং পরিধি বাড়াতে পারবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।
৪। বিক্রি বৃদ্ধিতে
তুলনামূলক ভাবে ছোট এবং নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য প্রথমদিকে পণ্য বা সেবা বিক্রি করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়ে। কেননা অনলাইন দুনিয়ায় তাদের পরিচিতি খুবই কম। এক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাঙ্খিত গ্রাহকের টার্গেট করে মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। ফলে অতি দ্রুত সময়ে আপনার পণ্য সেবার বা বিক্রির হার দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
৫। গ্রাহকের সন্তুষ্টি বাড়াতে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে পণ্য সেবা বা বিক্রির পাশাপাশি গ্রাহকের সন্তুষ্টি অর্জনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। একটি ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আপনার পণ্য বাসায় বা সম্পর্কে গ্রাহকের মতামত সংগ্রহ করতে পারেন। গ্রাহকের মতামত সংগ্রহ করার পর তাদের চাহিদা পূরণের জন্য আপনার পণ্য বা সেবার মান আরো উন্নত করতে পারেন। এর ফলে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে সন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর অসুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধার পাশাপাশি অনেকগুলো অসুবিধা রয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,
১। দীর্ঘ সময় ও প্রচেষ্টার প্রয়োজন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি কার্যকর কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়ন করতে দীর্ঘ সময় এবং প্রচেষ্টার প্রয়োজন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের টার্গেটেড অডিয়েন্সের সাথে সংযুক্ত হতে কার্যকরী মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে হয়, কার্যকর কার্যকরী মার্কেটিং কৌশল তৈরি করতে এবং তাদের কৌশলগুলির কার্যকারিতা পরিমাপ করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়।
২। অতিরিক্ত খরচ
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কিছু বাড়তি খরচ হতে পারে, যেমন বিজ্ঞাপন, কন্টেন্ট তৈরি এবং বিশ্লেষণ। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিজ্ঞাপন বাজেট তৈরি করার সময় এই খরচগুলি বিবেচনা করতে হবে। অনেক সময় ভুল টার্গেটেট লোকেশনে বিজ্ঞাপন দেয়ার ফলে পুরো টাকায় নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৩। প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রয়োজন হয়। অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে তাদের মার্কেটিং কলা কৌশল কে পরিচালনা এবং পরিমাপ করতে ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির সাথে কাজ করার সক্ষমতা থাকতে হয়।
৪। অতিরিক্ত প্রতিযোগিতা
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার জন্য ডিজিটাল মার্কেটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যার ফলে অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে ব্যাপক প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হয়েছে। এখন অনলাইন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখতে নতুন নতুন মার্কেটিং কলাকৌশল প্রয়োগ করতে হচ্ছে। এবং অন্যান্য ক কমপিটিটরদের থেকে নিজেকে ভিন্নভাবে মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে তুলে ধরতে হচ্ছে।
৫। নিরাপত্তার ঝুঁকি
বর্তমান সময়ে আমরা অনলাইন কেনাকাটায় অনেকটা অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর ফলে বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম এবং মার্কেটপ্লেস গুলোর কাছে আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো চলে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে তাদের গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য জমা হচ্ছে। এর ফলে এই তথ্যের অপব্যবহারের বিরাট ঝুঁকি রয়ে যাচ্ছে।
৬। সকল জায়গায় উপযুক্ত নয়
ডিজিটাল মার্কেটিং সব ধরনের ব্যবসার জন্য উপযোগী নয়, উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে স্থানীয় মুদির দোকানের ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্রয়োজন নেই। আপনি এমন একটি পণ্য অথবা সার্ভিস নিয়ে কাজ করবেন যা মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করে বোঝানো সম্ভব না। অথবা নতুন একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকলে।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এবং এর ভবিষ্যৎ
বিশ্বের প্রায় সব ছোট বড় ব্র্যান্ডগুলো এখন ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ইনভেস্ট করছে। তারা ডিজিটাল মার্কেটার নিয়োগ দিচ্ছে তাদের সেল বাড়ানোর জন্য। আর নিয়োগ না দিয়ে উপায়ও নেই কারণ, আগে যে মানুষগুলো থাকতো হাটে – ঘাটে – মাঠে, তারাই এখন বসে থাকে সারাক্ষণ অনলাইনে। হাতের মুঠোয় থাকা ছোট স্মার্টফোন দিয়েই বিচরণ করা যাচ্ছে ডিজিটাল জগতে।
ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটি সেক্টর। একজন মানুষের পক্ষে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সকল শাখায় সমানভাবে দক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। বেশির ভাগ ডিজিটাল মার্কেটার আসলে নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে বেশি দক্ষ হয়ে থাকে। যেমন ধরুন কেউ হয়তো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনে ভালো, আবার কেউ সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কেউ কনটেন্ট মার্কেটিং, কেউ ই-মেইল মার্কেটিং ইত্যাদি।
মার্কেটপ্লেসে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে, দিন দিন তা বেড়েই চলেছে। অনেকে কাজ শেখার আগে কোন কাজটি দিয়ে শেখা শুরু করবেন এ নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যান। ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতিটি বিষয় নিয়েই মার্কেটপ্লেসে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তাই আপনি যে কোনো একটি দিয়েই শুরু করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব?
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার জন্য বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা অনেকটা সহজ হয়ে গেছে। অনলাইন কোর্সের পাশাপাশি বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুব অল্প সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিলটি আয়ত্তে আনা যায়। এক্ষেত্রে ধৈর্য ও পরিশ্রম করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। নিম্নের পাঁচটি পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি খুব সহজেই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারবেন।
১। মার্কেটিং সম্পকে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে মৌলিক ধারণা অর্জন করার জন্য, আপনি অনলাইন কোর্স, বই, বা ব্লগ পড়তে পারেন। আপনি বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে সার্টিফিকেট প্রোগ্রামগুলিতেও অংশ নিতে পারেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে Google Digital Garage, Udemy, Skillshare, Hubspot, ও Coursera এর মত জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম গুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে অংশগ্রহণ করে মার্কেটিং সম্পর্কিত সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারেন।
২। অনলাইন কোর্স বা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে
মার্কেটিং সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনার নেওয়ার পর, আপনি অনলাইন কোর্স, ওয়েবিনার, বা মার্কেটিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারেন। এই কোর্সগুলি আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতেও শিখতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে আপনি স্বনামধন্য মার্কেটিং এজেন্সি গুলো থেকে কোর্স করতে পারবেন। বাংলাদেশ ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সুন্নাহ আইটি অন্যতম। তারা দীর্ঘ সময় ধরে সুনামের সাথে এডভান্স ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্সে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
৩। প্রাকটিকাল অভিজ্ঞতা অর্জন করুন
শুধুমাত্র তাত্ত্বিক জ্ঞানের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা সম্ভব নয়। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান আপনাকে বাস্তবে প্রয়োগ করে দেখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজের ব্যবসায় বা প্রজেক্টে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশলগুলি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। এটা আপনার অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানের পরিধি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।
৪। মার্কেটিং সম্পর্কিত গ্রুপগুলোতে যুক্ত হওয়া
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে এমন বড় ভাইদের সাথে সম্পর্ক রাখা, এবং মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় গ্রুপগুলোতে যুক্ত হয়ে নিজের জ্ঞান বা মেধাকে যাচাই করতে হবে। এটি আপনাকে নতুন দক্ষতা শিখতে এবং আপনার ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নিতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।
৫। সবসময় আপ-টু-ডেট থাকা
ডিজিটাল মার্কেটিং কলা কৌশল দ্রুত পরিবর্তনশীল। নতুন নতুন প্রযুক্তি এবং রোবটিক্স টেকনোলজির সহজলভ্যতার জন্য মার্কেটিং কৌশল গুলো অতি দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই, আপনাকে সর্বদা নতুন প্রযুক্তি এবং ট্রেন্ডগুলি সম্পর্কে আপ-টু-ডেট থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ফোরাম ও কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পারেন।
সফল মার্কেটার হওয়ার জন্য ৭টি গোপন টিপস
প্রতিটি সেক্টরের সফল ব্যক্তিদের কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। সফল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়ার জন্য টেকনিক্যাল গুণগুলোর পাশাপাশি আরও বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন। এটি অন্যান্য মার্কেটারদের থেকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস এ অন্যদের থেকে আলাদা রাখবে। বর্তমানে অনেকেই অনলাইন মার্কেটিং শিখতে চায় বা ইতিমধ্যেই শুরু করেছে।
নিজেকে আলাদা করার জন্য বিশেষ গুণ জরুরি। এখন গুণগুলো আলোচনা করা যাক:
১। জানার আগ্রহ
সফল মার্কেটার হতে জানার আগ্রহ ও নতুন জ্ঞানের খোঁজ অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন আপনি যে বিষয়ে কাজ করছেন সেটি সম্পর্কে নতুন তথ্য জানার জন্য আপনার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। এছাড়াও, আপনাকে নতুন কলাকৌশল এবং সম্ভাবনাগুলোর পরিচিতি থাকতে হবে যা আপনাকে ভবিষ্যৎ কাজে সাহায্য করবে। ডিজিটাল প্রযুক্তির পরিবর্তনশীলতা নিয়ে সঠিক ধারণা রাখতে হবে এবং এটি আপনাকে অন্যদের থেকে আগে নিয়ে যাবে।
২। প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব
প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব সফল ডিজিটাল মার্কেটারের জন্য জরুরি। নিজের পারফরম্যান্স উন্নত করতে প্রতিযোগিতার সাথে নিজেকে যাচাই করুন। সহযোগিতা ও সম্মতি বজায় রাখুন অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটারদের সাথে। এটি আপনাকে একজন সফল মার্কেটার হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনি অন্যের ক্ষতি না করে নিজের অবস্থানকে উন্নত করার জন্য যদি এই প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাবটি ধরে রাখেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনাকে একজন সফল মার্কেটার হতে সহযোগিতা করবে।
৩। ইতিবাচক মনোভাব
সফলতা অর্জনে সচেতন মনোভাব রক্ষা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলোকে সমস্যার পরিবর্তে সমাধানের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করুন এবং আপনার সামরিকতা প্রতিষ্ঠান করুন। সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য একজন মার্কেটার হিসেবে নিরাপদ এবং আশাপ্রদ মনোভাব রক্ষা করুন। মনে রাখবেন, ব্যর্থতা শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা, পূর্বের বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিন এবং এগিয়ে চলার জন্য আবার উদ্যম নিন। এই উদাহরণটি প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
৪। সৃজনশীলতা
সৃজনশীলতা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ গুলো করার জন্য অবশ্যই আপনাকে সৃজনশীল হতে হবে। নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে নিজস্ব চিন্তা শক্তির মাধ্যমে নতুন কিছু প্রকাশ করার মাধ্যমেই সৃজনশীলতা তৈরি হবে। যেকোনো ধরনের সৃজনশীল কাজ করতে হলে প্রয়োজন হয় কল্পনা শক্তি ও গভীর চিন্তার। যে যত বেশি সৃজনশীলতার চর্চা করবে, দিনে দিনে তার কল্পনাশক্তি ততই প্রখর হবে। এই কল্পনা শক্তি ধীরে ধীরে জ্ঞানের নতুন দ্বার উন্মোচন করে সৃজনশীল হিসেবে আপনাকে তৈরি করবে। সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে সফল হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
৫। যোগাযোগ দক্ষতা
যোগাযোগ দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ গুন ডিজিটাল মার্কেটারের এর জন্য। একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে আপনাকে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। এখানে যোগাযোগ দক্ষতা অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। এখানে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে যোগাযোগ তৈরি করতে হবে, তাই একজন ডিজিটাল মার্কেটারর জন্য এই গুণটি অনেক বেশি প্রয়োজন।
৬। বিশ্লেষণ ক্ষমতা
কোনো একটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে গেলে সেই কাজটির প্রতিটি বিষয়ে বিশদ ভাবে ঘেঁটে খুঁটিনাটি জানতে পারলে সেখানে সফল হওয়া সহজ হয়। অনেক সময় ছোটখাটো বিষয় কে বিশ্লেষণ করে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান আগে ভাগে করা যায়। আপনি যখন চিন্তাভাবনা করে বিশদভাবে কোনো কিছু বিশ্লেষণ করে কাজ করবেন তা আপনাকে আপনার প্রতিযোগীদের থেকে সামনের দিকে এগিয়ে রাখবে ইনশাআল্লাহ। ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে প্রতিটি কাজ নির্ভুলভাবে করার জন্য বিশ্লেষণী ক্ষমতা থাকাটা জরুরি।
৭। ধৈর্য
যে কোনো কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত ধৈর্য ধারণ করতে হয়। কারণ কোনো একটি কাজ শুরু করার সাথে সাথেই শতভাগ সফলতা আসবে এর কোনো গ্যারান্টি নেই। এজন্য কাজটি সঠিকভাবে শেষ করে ফলাফল অনুকূলে আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আপনি যে পন্যটি বা বিষয় নিয়ে মার্কেটিং করছেন সেটি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে এটি অনেকটা অবাস্তব। তবে আপনার সঠিক কর্মপরিকল্পনা ও কাজের মাধ্যনে তা একমসয় জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। আর এ জন্য সেই সময় পর্যন্ত লেগে থাকবে হবে ধৈর্যের সাথে।
শেষ কথাঃ
এই পোষ্টে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং কি এবং সফল মার্কেটার হওয়ার জন্য ৭টি গোপন টিপস নিয়ে আলোচনা করেছি। ডিজিটাল মার্কেটিং একটি কার্যকর পদ্ধতি যা আপনার পণ্য বা সেবা গ্রাহকদের কাছে সম্প্রচার করতে সাহায্য করে। সফল মার্কেটার হওয়ার জন্য আপনাকে ভাল্ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল অর্জন করার পাশাপাশি সুপারিশকৃত ৭টি টিপস মেনে চলা উচিত। আপনি নিজের কল্পনা শক্তি এবং সৃজনশীলতা ব্যবহার করে পণ্যটি গ্রাহকদের জন্য আরও আকর্ষণীয় করতে পারেন।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.